CM Mamata Banerjee: ‘অটলজিকে প্রশ্ন করেছিলাম যীশুর জন্মের দিনই জন্মেছিলেন? উনি বললেন না..না, মা-বাবা যা দিয়েছিলেন সেই চলে আসছে’
আজ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কথা বলার পাশাপাশি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর উদাহরণ দেন। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা ছিলাম হোমডেলিভারি।" এখন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেউ যদি জন্মের শংসাপত্র চান তাহলে কীভাবে পাবেন? আজ নিজেই এ কথা বলে মমতা বলেন, "আজ যদি আমায় কেউ বলে তুমি গ্রামের সার্টিফিকেট নিয়ে এসো মা বাবার। আমি পারব না। মিথ্যা কথা কেন বলব...আমরা জন্মেছিলাম মাটির ঘরে। তারপর এখানে বাবার কাজের জন্য চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু ক'জনের ইন্সস্টিটিউশন ডেলিভারি হত?

কলকাতা: আগে মহিলারা সন্তানের জন্ম দিতেন নিজের বাড়িতেই। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। হাসপাতালে গিয়ে মহিলারা সন্তান প্রসব করেন। আর এই ‘ইন্সস্টিটিউশন ডেলিভারি’ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। এসআইআর আবহে এমনই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্তমানে রাজ্যে এসআইআর চলছে। ফলে, সেখানে কারও-কারও ক্ষেত্রে কিছু নথিপত্র প্রয়োজন হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে জন্মের সার্টিফিকেটও। কিন্তু অনেক পুরনো দিনের মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাছে এই সার্টিফিকেট নেই। তাঁরা কীভাবে দেবেন? আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সেই নিয়েই মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কথা বলার পাশাপাশি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর উদাহরণ দেন। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ছিলাম হোমডেলিভারি।” এখন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেউ যদি জন্মের শংসাপত্র চান তাহলে কীভাবে পাবেন? আজ নিজেই এ কথা বলে মমতা বলেন, “আজ যদি আমায় কেউ বলে তুমি গ্রামের সার্টিফিকেট নিয়ে এসো মা বাবার। আমি পারব না। মিথ্যা কথা কেন বলব…আমরা জন্মেছিলাম মাটির ঘরে। তারপর এখানে বাবার কাজের জন্য চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু ক’জনের ইন্সস্টিটিউশন ডেলিভারি হত? ক’জন কলকাতায় থাকতেন? ক’টা মেডিক্যাল কলেজ ছিল? ক’টা হাসপাতাল ছিল? গ্রামে বলা হল ধাত্রী মা। তাঁরা বাচ্চাদের জন্ম দেওয়াতো। সেই কারণে এডুকেশন সার্টিফিকেট আমাদের জন্মের শংসাপত্র। ৯৯ শতাংশ লোকের তাই। সেই কারণ, জন্মের শংসাপত্র এদিক ওদিক হয়ে যায়। কিছু করার নেই।”
এরপর তিনি নিজে এও বলেন, “আমি আমার আত্মজীবনী বইয়ে লিখেছি, আমার দাদা আমায় বলল জানিস আমার সঙ্গে তোর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ছ’মাসের মাত্র বয়সের ফারাক রয়েছে। আমি বললাম এগুলো বাবা-মা করেছে। এটা করেছে বলেই তাড়াতাড়ি যাদবপুরে দাঁড়াতে পেরেছি।”
এরপর তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, “অটলজি আজ বেঁচে নেই। আমায় স্নেহ করতেন। আমি একদিন ওকে জিজ্ঞাসা করলাম যীশুর জন্মের দিনই আপনার জন্ম হয়েছিল তো? উনি বললেন না না এটা আসল না। যেটা মা-বাবা দিয়েছিল সেইটাই চলছে। আর উনি তো আমায় ৫ জানুয়ারি শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করতেন। আমি তখন এটাই বললাম, অটলজি আমারও তাই।” এরপর একটু হেসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি আমায় ফোন করবেন না…।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই চোদ্দ বছরে স্বাস্থ্যে বিপ্লব হয়েছে। এখন ইন্সস্টিউশন ডেলিভারি হয় ৯.৫ শতাংশ। এর জন্য কৃতিত্ব হওয়া উচিত।”
