BIG NEWS: কয়লাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, লালার বিপদ বাড়িয়ে ধৃত চার

Anup Maji lala: গত নভেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করে সিবিআই। দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা।

BIG NEWS: কয়লাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি সিবিআইয়ের, লালার বিপদ বাড়িয়ে ধৃত চার
কয়লাকাণ্ডে লালা-বিকাশ-বিনয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 7:10 PM

কলকাতা: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Scam Case) সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি। চারজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, এই চারজনই অনুপ মাজি ও ওরফে লালার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। চারজনকেই আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সোমবার ফের তলব করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করে সিবিআই।

ধৃতদের নাম জয়দেব মণ্ডল, নারায়ণ নন্দ, নীরদ মণ্ডল ও গুরুপদ মাজি। অভিযোগ, এই চারজন লালার কয়লা ব্যবসার সিন্ডিকেটের দেখাশোনা করত। এঁদের হাত ঘুরেই একাধিক প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছত ‘কালো’ টাকা।

প্রায় এক বছর হতে চলল কয়লাকাণ্ডের তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে সিবিআই। তবে এতদিন ঢেলে তদন্ত করলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। এই প্রথম কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতারি। তাও একই সঙ্গে চারজন। অভিযোগ, প্রত্যেকে লালার সিন্ডিকেটে যুক্ত। অর্থাৎ, কয়লা কোথায় পাচার করা হবে। কত টাকায় রফা হবে, কে কী ভাবে কয়লার টাকা দেবেন বা নেবেন সবটাই নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ধৃতদের। সিন্ডিকেটের একেবারে শীর্ষ পদে ছিলেন এই জয়দেব, নীরদ, নারায়ণ, গুরুপদ।

অভিযোগ, শুধু সিন্ডিকেটই নয়, লালার আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন চারজন। মূলত, এই ব্যবসায় কয়লা পাচারের টাকা খাটানো হতো বলে অভিযোগ। সেই ব্যবসায় ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে চারজনের। সিবিআই এর আগেও বহুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাঁদের। কোনও বারই সন্তোষজনক জবাব পায়নি।

সোমবার বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে মুখই খোলেননি এই চার অভিযুক্ত। এরপরই তাঁদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হবে। সিবিআইয়ের তরফে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। এই চারজনকে জেরা করে অনুপ মাজি ও তাঁর কয়লার কারবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

কারণ, সিবিআই সূত্রে খবর কলকাতায় কয়লা-মাফিয়াদের সাম্রাজ্য বিস্তার এবং কোনও কোনও হেভিওয়েটের কাছে টাকা যেত সে তথ্য এই চারজনের কাছে রয়েছে। ফলে এই গ্রেফতারি যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।

গত নভেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করে সিবিআই। দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। হাতে আসে অনুপ মাজি ওরফে লালা নামে এক মাঝ বয়সী লোকের নাম, কয়লা পাচার করে যিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। তাঁকে খুঁজতে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাড়িতে প্রথম হানা দেয় সিবিআই। একইসঙ্গে কলকাতায় তাঁর বাড়ি ও অফিসেও যান তদন্তকারীরা। যদিও লালার দেখা তাঁরা পাননি। তবে লালার জাল যে বহু দূর ছড়িয়েছে, তা বুঝতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন: Madan Mitra: মুখশুদ্ধি চিবোতে চিবোতে ‘কালারফুল’ মদন বললেন ‘এখানে শীতলকুচিতে বরফ লাগবে না, এমনিই ঠান্ডা হয়ে যাবে…’