Bhabanipur By-Election: দিলীপ-অর্জুন আক্রান্ত, একাধিক জখম; তবু ‘বড় নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা’র তত্ত্ব দেখছেন পার্থ

Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মেতেছেন বিজেপির নেতারা। সুকান্ত বাবু নিজে রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন। কেউ আবার বন্দুক বার করছেন। হারের হতাশার আগেই হতাশা থেকে এগুলো করছেন তাঁরা।"

Bhabanipur By-Election: দিলীপ-অর্জুন আক্রান্ত, একাধিক জখম; তবু 'বড় নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা'র তত্ত্ব দেখছেন পার্থ
খড়দহের ঘটনায় তন্ময় ভট্টাচার্যকে বক্রোক্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 7:12 PM

কলকাতা: বিজেপি (BJP) উত্তেজনার ছড়াবার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যা পদক্ষেপ করার তা করবে। আজ ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ও অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) উপর আক্রমণের ঘটনায় এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মেতেছেন বিজেপির নেতারা। সুকান্ত বাবু নিজে রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন। কেউ আবার বন্দুক বার করছেন। হারের হতাশার আগেই হতাশা থেকে এগুলো করছেন তাঁরা।” একইসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব আরও জানান, আমরা আমাদের কর্মীদের বলব, এসব প্ররোচনায় যেন তাঁরা পা না দেন। কমিশন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার দায়ে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। বিজেপির নেতারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কে বড় নেতা হবেন।”

ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার পর্ব শেষ। কিন্তু শেষ বেলায় রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা। আজ সকালে ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে প্রথমে বাধা পান সাংসদ অর্জুন সিং। বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রচার বন্ধ করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।

এরপর দিলীপ ঘোষ। তিনিও প্রচারে বেরিয়েছিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে। কিন্তু তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপির কর্মীদের উপর চড়াও হয় একদল বিক্ষোভকারী। ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আশেপাশে কোথায় কলকাতা পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। বিক্ষোভকারীদের থেকে দিলীপ ঘোষকে উদ্ধার করতে বন্দুক উঁচিয়ে ধরতে বাধ্য হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনায় দুই বিজেপি কর্মী জখম হয়ছেন। একজনের মাথায় চোট লেগেছে।

ওই দুই বিজেপি কর্মীকেই প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে বাসপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আর এরই মধ্যে, যখন রাজ্যের কোথায় মাথা ফাটছে, রক্ত ঝড়ছে, তখন শাসক দলের মহাসচিব, যিনি কিনা রাজ্যের মন্ত্রীও বটে, তাঁর মুখ থেকে এমন বক্তব্যে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

বিজেপি নেতাদের প্রতিযোগিতায় নামার তত্ত্ব দিয়ে কি আদৌ কোনও রক্ত ঝড়ার ব্যাখ্যা দেওয়া যায়?

আর আজ যখন দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়, তখন কোথায় ছিল কলকাতা পুলিশ? কেন্দ্রীয় বাহিনীই বা কোথায়? কে বলতে পারে, তখন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে না দাঁড়ালে আরও ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনা ঘটত না?

যে ফুটেজ সামনে এসেছে, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের একাংশ নিরাপত্তারক্ষীদের বাদ দিচ্ছে না। কেউ পিছন থেকে ধাক্কা মারছে, তো কেউ সামনে থেকে। এমন একটা পরিস্থিতিতে যদি বন্দুক উঁচিয়ে না ধরতেন নিরাপত্তারক্ষীরা, তাহলে পরিস্থিতি কী হতে পারত, তা কি ভেবে দেখেছেন শাসক দলের নেতারা ? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: ‘ভাইপোর জন্য মোদীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন মমতা, শুধু শাহের সঙ্গে সেটিং নেই’