কলকাতা: পাঁচ জেলার ৬ আসনে ভোট। একুশে বিজেপি জিতেছিল একটি আসন। বাকি পাঁচটি জিতেছিল তৃণমূল। উপনির্বাচনে ফল কী হবে? ১৩ তারিখ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই জল্পনা বাড়ছিল। উপনির্বাচনে সাধারণত ভোটের ফল শাসকদলের পক্ষেই যায়। কিন্তু, মাদারিহাটের ফল নিয়ে অঙ্ক শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ৬টি আসনই জিতল তৃণমূল। তবে শাসকদলের জয়ের পাশাপাশি নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বাম-কংগ্রেসকে নিয়ে। উপনির্বাচনে কোনও আসনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি কংগ্রেস কিংবা বামেরা। জোট না করে লড়েছিল তারা। জোট করলে কি প্রাপ্ত ভোটের হার বাড়ত? শুরু হয়েছে জল্পনা।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ৬ আসনে যে বাম ও কংগ্রেস সেভাবে দাগ কাটতে পারবে না, ভোটের আগেই তার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ফোটের ফল বেরোনোর পর দেখা গেল, বাস্তবে তাই হয়েছে। কোনও আসনেই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি কংগ্রেস কিংবা বামেরা।
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে জোট করেছিল কংগ্রেস ও বামেরা। সেখানে বামেরা আসন না জিতলেও কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছিল। তখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন অধীর চৌধুরী। আবার ২০২২ সালে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট করে তৃণমূলকে হারিয়েছিল। অথচ একুশের নির্বাচনে ওই আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ফলে জোটের প্রভাব দেখা গিয়েছিল সাগরদিঘিতে।
অধীরের জায়গায় এখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। বামেদের প্রার্থী ঘোষণার ঠিক আগে জোট নিয়ে আলোচলা শুরু করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, তা তখন সম্ভব নয় বলে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন। ফলে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হয়নি। আর ফল বলছে, ৬ আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বাম ও কংগ্রেসের। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, জোট হলে হয়তো জামানত বাজেয়াপ্ত নাও হতে পারত।
উপনির্বাচনের ফলের পর ফের জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমি জানি না জোট কে করবে না করবে। যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের কাছে কী প্রস্তাব এসেছিল জানা নেই।” তবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকে টক্কর দিয়েছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।