কলকাতা : কলকাতায় কমছে কনটেইনমেন্ট জোনের (Containment Zone) সংখ্যা। তবে এখনও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আবাসনগুলি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরনিগম। বর্তমানে কলকাতা পুরনিগম এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৩৩ থেকে কমে হয়েছে ২৯। শহরে দৈনিক আক্রান্তের (COVID 19 Cases in Kolkata) সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখনও তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শহরে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ জন। নতুন কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় যে ২৯ টি এলাকা রয়েছে, তার মধ্যে শুধুমাত্র ১০ নম্বর বোরোতেই রয়েছে ১২ টি কনটেইনমেন্ট জোন। এছাড়া ১৬ নম্বর বোরোতে পাঁচটি এবং ৩ নম্বর বোরোতে চারটি করে কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়ার্ড ভিত্তিক হিসেবে সবথেকে বেশি সংক্রমণ রয়েছে যোধপুর পার্কের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে এখনও পর্যন্ত মোট ছ’টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে।
এছাড়া শহর কলকাতার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পাঁচটি কনটেইনমেন্ট জোন। থানা এলাকাগুলির হিসেবে দেখতে গেলে কলকাতার লেক থানা এলাকায় সর্বোচ্চ সাতটি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। এর পর হরিদেবপুর থানায় রয়েছে পাঁচটি কনটেইনমেন্ট জোন। বুধবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ বা প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৪০ জনকে। এর পাশাপাশি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৮৮ হাজার ২৪৫ জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কনটেইনমেন্ট জোনের সংজ্ঞা অনেকটা বদলে গিয়েছে। এখন আর বড় কোনও একটি এলাকা বা একটি পাড়াকে কনটেইনমেন্ট জোন করা হচ্ছে না। বরং ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে, যেখানে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে সেখানে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি ফ্ল্যাট বা একটি বহুতলকেও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
তবে করোনার এই নতুন ঢেউয়ে শহর কলকাতায় বস্তি এলাকাগুলির থেকে আবাসনগুলি বেশি করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। কনটেইনমেন্ট জোনগুলির তালিকায় আবাসনের সংখ্যাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরনিগম।
আরও পড়ুন : Uttarakhand Assembly Election : জল্পনার অবসান, দীর্ঘক্ষণের বৈঠকের পর বিজেপিতে যোগ প্রয়াত সিডিএস-এর ভাইয়ের