কলকাতা: অনলাইনে নাম রেজিস্ট্রেশনের পরও চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে টিকা নিতে এসে। এমনই অভিযোগ ঘিরে সোমবার তুমুল গোলমাল শুরু বিধাননগরের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
সংশ্লিষ্ট অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার পর টিকাপ্রার্থীদের ফোনে এসএমএস আসে। সেখানে সময়ের স্লট দিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে গিয়ে টিকাপ্রার্থীরা দেখেন, নিজেদের ইচ্ছামতো তালিকা তৈরি করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরপরই শুরু হয় হইচই। এদিন মূলত টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছিল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
পিএনবির সিসি ব্লকের বাসিন্দা বাবলু মজুমদারের অভিযোগ, “অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পর সোমবার টিকা নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। আমাকে সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে সময় দেওয়া হয়েছিল। আমি ৯টা থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দেখছি এখানকার ভ্যাকসিন দেওয়ার লোকজন নিজেদের মতো করে তালিকা বানিয়ে লোককে ডাকছে। অথচ আমাদের সময় দেওয়া থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছি।”
যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক আধিকারিকের কথায়, “আজ কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য কে আগে নেবে কে পরে নেবে তা নিয়ে সকলেই তাড়াহুড়ো করছিল। এখানকার যিনি ইনচার্জ, উনি আমি সকলেই লাইনে গিয়ে বোঝালাম আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। সবাইকে দিতে পারব। কিন্তু যে আগে আসবে সে আগে পাবে। নাম লেখানোর কোনও ব্যাপার নেই। অনলাইন বুকিংয়েরও কোনও ব্যাপার নয়। বিধাননগর পুর নিগম এই উদ্যোগ নিয়েছে। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভের ভিত্তিতে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে।” আরও পড়ুন: নবান্নে যাওয়ার আগে হঠাৎই কালীঘাটে টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনে গাড়ি থামল মমতার, সটান ঢুকে গেলেন ভিতরে…