কলকাতা : বেলেঘাটায় মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় ধৃতদের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের তরফে ধৃতদের আরও জেরা করার জন্য ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদেন প্রেক্ষিতেই ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এদিকে এই মামলায় রবিবার নতুন করে ৩৯৫ ও ১২০ বি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আইনি পরামর্শ নেওয়ার নাম করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাঠ চালানো হয়েছিল। আইনজীবীর বাড়ি থেকে লুঠ হওয়া টাকা এবং গহনা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যে আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও।
যেহেতু অভিযোগকারী একজন আইনজীবী, তাই সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে আইনি পরামর্শের অজুহাতে তাঁর বাড়িতে ঢোকে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখায় তারা। মহিলা আইনজীবী অবশ্য তখন বাড়িতে ছিলেন না। ধৃতরা আইনজীবীর বাবা ও ভাইকে আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ। আইনজীবীর ভাইয়ের মাথায় একাধিক সেলাইও পড়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। রক্তমাখা জামাকাপড়ও পাওয়া গিয়েছে। তবে যে সোনার গয়না লুঠ হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, সেই গয়না এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আরও অনেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন পুলিশকর্মীরা। এর পাশাপাশি যে আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়ে ধৃতরা আইনজীবীর বাড়িতে চড়াও হয়েছিল, সেটিও এখনও উদ্ধার হয়নি।
উল্লেখ্য, ওই মহিলা আইনজীবীর স্বামীও পেশায় একজন ফৌজদারি বিভাগের আইনজীবী। স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিগত কিছুদিন ধরে ভাল যাচ্ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তখন থেকেই স্থানীয়দের অনেকে অনুমান করছিলেন, ঘটনার সঙ্গে তাঁর স্বামী জড়িত থাকতে পারেন। তবে পুলিশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত মহিলা আইনজীবীর স্বামীর জড়িত থাকার কোনও তথ্য মেলেনি।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী কি একবারের চেষ্টাতেই ইতিহাসে পাশ করেছিলেন?’