Covid Update: টেস্ট কমে প্রায় অর্ধেক, ভয় ধরাচ্ছে বাংলার পজিটিভিটি রেট

Covid Update: গত কয়েকদিন ধরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বর্তমানে অনেকটাই বেশি।

Covid Update: টেস্ট কমে প্রায় অর্ধেক, ভয় ধরাচ্ছে বাংলার পজিটিভিটি রেট
দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল রাজ্যে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 8:40 AM

কলকাতা : করোনার রেখচিত্র আবারও চোখ রাঙাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। রবিবারের পর সোমবার বাংলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও করোনা পরীক্ষার হার বলে দিচ্ছে, স্বস্তি পাওয়ার কিছু নেই। শনিবার ও রবিবার সাধারণ করোনা পরীক্ষা কম হয়, তাই আক্রান্তের সংখ্যাও কম দেখা যায়। সোমবারও তারই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের ওপরেই রয়েছে।

রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮২২, আর সোমবার সেটা কমে হয়েছে ১ হাজার ১৩২। নমুনা পরীক্ষার হার হিসেব করলে দেখা যাবে, তা প্রায় অর্ধেক। গত শনিবার ১২ হাজার ৯২১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, যার রিপোর্ট দেখা যায় রবিবারের বুলেটিনে। আর রবিবার নমুনা পরীক্ষা কমে হয়েছে ৭ হাজার ৪৭৮। সেই কারণেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেঠে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পজিটিভিটি রেট বলে দিচ্ছে, করোনা উদ্বেগ এখনও কমেনি।

সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ১৫.১২ শতাংশ। রবিবার যে হার ছিল ১৪.১০ শতাংশ। তবে রবিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর এলেও সোমবার কোনও মৃত্যুর খবর আসেনি। সুস্থতার হার ৯৮.৪১ শতাংশ।

তথ্য বলছে, এবার যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অসুস্থতার মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই কম। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা যেখানে অনেকটাই বেশি, সেখানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ৪৪৫ জন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বাংলার করোনা আক্রান্তদের নমুনায় নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে এ কথা জানানো হয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্স (এনআইবিজি)। সেটা  ওমিক্রনেরই একটা সাব ভ্যারিয়েন্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এনআইবিজি-র গবেষকরা অবশ্য জানিয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তবে বেশি অসুস্থ হওয়ার বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকছে। সেই কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।