কলকাতা : রাজ্যে করোনা (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের দোরগোড়ায়। পুর আধিকারিকেরা পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈঠকও সেরেছেন ইতিমধ্যেই। সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। এই প্রসঙ্গে পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বললেন, ‘করোনার টিকার (Covid Vaccine) দুটি ডোজ নিলে করোনা আক্রান্ত হবে না, এটা কেউ বলে নি। তবে মহামারির আকার নেবে না। যে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছিল, তাকে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।’ তাঁর কথায়, ‘করোনাকে নিয়েই চলতে হবে। যে রকম পক্স বা অন্যান্য রোগকে সঙ্গী করে চলি, তেমনই চলতে হবে। শনিবার শহরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম।
তবে অনেকেই এখনও করোনার দ্বিতীয় ডোজ় অনেকেই নেননি। এ কথা উল্লেখ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমার কিছু হবে না, এই ধ্যান ধারণা নিয়ে অনেকে এখনও জীবন অতিবাহিত করছেন। দ্বিতীয় ডোজ় না নেওয়াকে অনেকেই বীরত্ব মনে করছেন। এটা ঠিক করছেন না। তাঁদের বলছি, করোনার দ্বিতীয় ডোজ় যত দ্রুত সম্ভব তাড়াতাড়ি নিয়ে নিন।’
তবে পুর প্রশাসকের কথায়, এটা ঠিক যে এখন টেষ্ট বেড়েছে, যে কারণে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে। করোনা আক্রান্তদের সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। তবে সবেমাত্র পুজো গিয়েছে। তাই করোনা বাড়বেই এই আশঙ্কা ছিল বলেই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার এখন অনেক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। আমি আশাবাদী আক্রান্তদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। পুজোর জন্য যে শুধুমাত্র করোনা বাড়ছে, তা নয়। আমার অনেক বন্ধু রয়েছে যাদের ঘুরতে গিয়ে করোনা হয়েছে। যদি একটু মানুষ ভিড় এড়িয়ে চলেন, যদি দায়িত্ব নিয়ে এবং সচেতনভাবে মাস্ক পড়েন তাহলে এই করণা বাড়বাড়ন্ত রোখা সম্ভব। যে কারণে আমরা বারবার সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমি জানি, মানুষ নিশ্চিতভাবে সচেতন হবেন।’
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার মধ্যে দু-তিনটি পাড়া করোনায় সমগ্রভাবে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা একটি পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। তাই কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট করা এতটা সহজ নয়। গোটা একটা এলাকা বা কমিউনিটিকে কনটেইনমেন্ট জোনে ফেলে দেওয়া এতটা সম্ভব হবে না।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই জরুরি বৈঠকও হয়েছে নবান্নে। নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সব জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের সেই বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়। আজ শনিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি হয় সেই বৈঠক।
আরও পড়ুন : RG Kar Protest: অনশন মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন পড়ুয়া, ‘আর কী হলে শুনবে স্বাস্থ্য দফতর?’ প্রশ্ন মায়ের