কলকাতা: ফের কোভিড (Covid 19) উদ্বেগ বাড়ছে গোটা দেশে। নয়া ভ্যারিয়্যান্টের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ছুটেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে দেখা গিয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi)। শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বাংলার তরফে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে কি আতঙ্কের আবহে ফের আম-আদমির মুখে ফিরতে চলেছে মাস্ক? কী বলছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)?
ফিরহাদের উত্তর, “মাস্ক নিয়ে নির্দেশিকা আসেনি। এলেই প্রচারে নামব। বুস্টার ডোজ নিয়ে বহুবার প্রচার হয়েছে। কিন্তু, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। তবে এমনিতেও মাস্ক পরলে তো ভালই। অন্যান্য সংক্রমণ বা দূষণ থেকে বাঁচা যায়। করোনা না থাকলেও মাস্ক পরা তো ভাল অভ্যাস। জাপানের মানুষেরা সর্বদা মাস্ক পরে থাকেন তাতে এমনিতে সুবিধা।” তবে কোভিডের বাড়ন্ত গতি রুখতে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জরুরি বৈঠক করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটা নির্দেশিকা দিয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছি। যদিও এখনও একটাও কেস ধরা পড়েনি। আমাদের শহরে প্রতিটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা টেস্ট চালু রয়েছে। আমরা বলব, সামান্য কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই সকলে যেন টেস্ট করেন।” তবে এখনই জারি হচ্ছে না কোনও বিধিনিষেধ, এদিন জানিয়ে দিয়ছেন ফিরহাদ।
করোনা টিকা নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা ফিরহাদের
সামনেই বড়দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছরের উদযাপন। কেন্দ্রের তরফে কী ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে? ফিরহাদের উত্তর, “না এখনও পর্যন্ত কোনও অ্যাডভাইজারি আসেনি আমাদের কাছে। একটা কেসও ধরা পড়েনি। তাই এখনই কোনও বিধিনিষেধের মধ্যে যাচ্ছি না। কিন্তু, আমাদের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আমরা প্রত্যহ যোগাযোগ রাখছি। সরকারি ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার ডোজ আমাদের দিচ্ছেন না। কিন্তু, বেসরকারি জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই যাঁরা নেননি তাঁরা একটা বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়া ভাল।”