কলকাতা : চিন্তা বাড়চ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ.৭ (New Variant BF.7 of Coronavirus)। রাজ্যের কোভিড (Covid-19) পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বাংলার তরফে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে সঙ্কটকালে কলকাতা পুরনিগমের চিন্তা বাড়াচ্ছে বুস্টার ডোজ না নেওয়া শহরবাসী। এদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু থাকলেও তা নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে। বাংলার ক্ষেত্রেও অবস্থাটা কার্যত একই।
এদিকে ভ্যাকসিনের একটি অ্যাম্পুলে ১০ থেকে ১২ জনের ডোজ হতে পারে। সেখানে একজন বা দু’জন পৌঁছলে তাঁদেরকে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, একবার অ্যাম্পুল খুলে ফেললে সব ডোজ না শেষ করলে দিনের শেষে তা নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনও নেই। শুধুমাত্র রয়েছে কোভ্যাক্সিন। সূত্রের খবর, আগে কোভিশিল্ড নেওয়া বহু মানুষই বুস্টার ডোজ হিসাবে কোভ্যাক্সিন নিতে চাইছেন না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী, কোভিশিল্ড নেওয়া মানুষরা কোভ্যাক্সিন নিতেই পারেন। কিন্তু, তারপরেও বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৫৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯১০ জন। কলকাতা শহরের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৬ জন। ১৮ বছরের উপরে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ১২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮১১ জন। টার্গেট ছিল ৩৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৫ জন। অর্থাৎ মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ এখনও পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ১৮ ঊর্ধ্বে বয়স এমন ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৮৪ জন মানুষ কলকাতায় বসবাসকারী মানুষ বুস্টার ডোজ নেননি। আলাদা করে ষাটোর্ধ ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৩২ জনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা। নিয়েছেন ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৩৪ জন। ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৮৯ জন মানুষ নেননি এখনও। তাতেই বাড়ছে চিন্তা।