করোনার টিকা দিতে পারে অ্যাপোলো-আমরি-আরএন টেগোরও
অন্যদিকে ভ্যাকসিন প্রাপকের প্রথম একশোর তালিকা ঘিরে শুরু হয়েছে টানাপড়েন।
কলকাতা: সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালেও করোনার টিকাকরণের (Vaccine) ভাবনা। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দুপুরেই অ্যাপেলো, আর এন টেগোর, ঢাকুরিয়ার আমরিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্যদফতরের বিশেষ দল। তিন বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের আর এন টেগোরে একযোগে প্রশিক্ষণেরও পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্যদফতরের। অন্যদিকে এদিনই বালিগঞ্জের ভ্যাকসিন স্টোর থেকে পুরসভার পাঁচ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এদিনই ভ্যাকসিনের ডোজ় বণ্টন করা হবে।
গত বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল উপযুক্ত পরিকাঠামো পেলে বেসরকারি হাসপাতালেও কোভিডের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। সেইমতোই উপরিউক্ত তিন বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে ভাবনাচিন্তা রয়েছে স্বাস্থ্যদফতরের। তবে শুক্রবার টিকাকরণের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। তেমনটা হলে কলকাতায় টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮। রাজ্যেও টিকাকেন্দ্রের সংখ্যা হবে ২০৮টি।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অন্দরের ‘বিদ্রোহ’ই ভোটযুদ্ধে বিজেপির তুরুপের তাস, আজই দিল্লিতে দিলীপ, মুকুলরা
অন্যদিকে ভ্যাকসিন প্রাপকের প্রথম একশোর তালিকা ঘিরে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। শনিবার দেশজুড়ে প্রথম করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। দুপুর ১টায় ভ্যাকসিন প্রাপকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকাকরণের বোধনকে স্মরণীয় করতে রাজ্যের পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসককে টিকা দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে।
এসএসকেএমে টিকা প্রাপকের তালিকায় নাম থাকতে পারে চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়, এজি ঘোষাল, অলোক রায়, অরুণাভ সেনগুপ্তের। শেষ মুহূর্তের চরম ব্যস্ততা স্বাস্থ্যদফতরেও। তবে এরইমধ্যে বহাল টানাপোড়েন। রাজ্যের প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্রে প্রথম দিন ১০০ জনকেই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সেই প্রথম একশোয় কোন কোন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন তা নিয়েই মূলত টানাপোড়েন।