কলকাতা : স্কুল খুলেছে মাস কয়েক আগেই। ওয়ার্ক ফ্রম হোমও বন্ধ করেছে অনেক সংস্থাই। কিন্তু তথ্য বলছে, এখনই কোভিড থেকে স্বস্তি নেই। তাই হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি কেমন, চিকিৎসা পরিকাঠামো কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনায় বসল স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার রাজ্যের সবক’টি মেডিক্যাল কলেজের সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। জুলাই মাসে সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
গত কয়েকদিন ধরেই কোভিড সংক্রমণ হাজারের ওপরে। আর বুধবার তা পেরিয়ে গেল ২ হাজারের গণ্ডী। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বুলেটিন প্রকাশ না হলেও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার পার করেছে। নতুন করে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতর যে সমীক্ষা করেছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে জুলাই মাসের মাঝামাঝি কোভিড সংক্রমণ চরমে পৌঁছবে। তার আগেই সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা।
সংক্রমণ গুরুতর হলে অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, এমনকি ভেন্টিলেশনে দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে। তাই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, ভেন্টিলেটর সবকিছু ঠিক আছে কি না, তা একবার ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবারও রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯৭৩ জন। পরপর দু’দিন রাজ্য়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হার দাঁড়িয়েছে ১.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে মঙ্গলবার পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৯৩ শতাংশ। সূত্রের খবর, বুধবার সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। গত বছরের শেষের দিকে এ রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সূত্রপাত হয়। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেরেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল সেবার। এবারও নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।