কলকাতা: চাকরি দিচ্ছে সিপিএম। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জব পোস্টও’ করতে দেখা যায় মহম্মদ সেলিমকে। তাতেই নাকি দেদার সাড়া। সেই তথ্যও আনা হল প্রচারের আলোয়। সিপিএমের দাবি, এই ক’দিনেই চাকরির জন্য এক হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে তাঁদের। একইসঙ্গে ফের একবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারের ডেডলাইনের কথা। কারণ ওইদিন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত করা যাবে আবেদন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে কন্টেন্ট রাইটার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, এমনকী পলিটিক্যাল ইন্টার্ন নিতে চেয়ে কয়েকদিন আগেই পোস্ট করা হয় বঙ্গ সিপএমের তরফে। আবেদনের জন্য ই-মেল আইডির পাশাপাশি দেওয়া হয় কিউআর কোডও। সেই পোস্ট সামনে আসতেই তুমুল চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক আঙিনায়। পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসতে থাকে নানা মত। তবে কী এবার তৃণমূল-বিজেপির মতো কর্পোরেট স্টাইলে পিকে-দের খোঁজ করতে শুরু করে দিল বামেরা? এই প্রশ্নও যেমন ওঠে। তেমনই, পুঁজিবাদের বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বাম নেতারা কী তাহলে বাম পথটাই ভুলে গেলেন? এই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
যদিও বিতর্কের মুখে ছাই দিয়ে সিপিএম বলছে রেকর্ডের কথা। ৫ দিনেই হাজার আবেদন। যা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস লাল শিবিরের অন্দরে। এদিকে এই নয়া উদ্যোগ নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন সেলিম। সাফ বলেছিলেন, এতে দিনের শেষে সিপিএমেরই সক্ষমতা বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য় বলেন, “পেশাদাররা লেফট ইকো সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে যে কাজ করছেন। তাতে আরও শক্তিশালী হবে বামপন্থার কাজকর্ম। তবে কোনওভাবেই ভাড়াটে প্রশান্ত কিশোরদের মতো নয়। এখানে পেশাদারিত্বের সঙ্গে বামপন্থাকে আমজনতার সঙ্গে তুলে ধরা কাজ চলছে। বামপন্থীদের আবেদনে আমজনতার সাড়াতেই স্পষ্ট মানুষ জন কতটা আগ্রহী বামপন্থীদের সঙ্গে কাজ করাতে।”