কলকাতা: ২০১৬ থেকে ২০২১! বাম-কংগ্রেস জোটের (যদিও দু’দলই বলে আসন সমঝোতা) ভোট-লড়াই নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। আদৌ এই সমঝোতা কতটা আন্তরিক তা নিয়ে দুই শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর তো রীতিমতো কাটাছেঁড়া চলেছে এই সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘিরে। এরইমধ্যে বিমান বসুদের মুখে ‘উন্নততর সমঝোতা’র বার্তা।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতায় লড়ছে বটে। কিন্তু কোচবিহারের মতো আসনে দু’পক্ষেরই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আবার প্রশ্নের মুখে ‘জোট’। রাজনীতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ কিংবা নিচুতলার কর্মী সমর্থক- সকলেই অদ্ভুত ধোঁয়াশায়। রবিবার সেই ধোঁয়াশা কাটানোর বার্তাই যেন শোনা গেল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে।
এদিন বিমান বসু বলেন, সর্বভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে রাজ্যের রাজনীতিকে কোনওভাবেই গুলিয়ে ফেললে চলবে না। বিমান বসুর কথায়, “সর্বভারতীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের যে সম্পর্ক ভিন্ন প্রকৃতির। তা সত্ত্বেও কেরলে ইউডিএফের (UDF) নেতৃত্বে সরকার হয়, মুখ্য ভূমিকায় কংগ্রেস থাকে। এলডিএফের নেতৃত্বে সরকার হয়, মুখ্য ভূমিকায় কংগ্রেস থাকে।”
বিমান বসুর কথায়, এটা রাজ্যস্তরের সমীকরণ। যা সর্বক্ষেত্রেই থাকে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান এদিন মনে করিয়ে দেন, “ইন্ডিয়া ব্লক গড়ে ওঠার পর বলা হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানগত কারণে নির্বাচনী বোঝাপড়া একইরকম হবে না।”
তবে এ রাজ্যেও কংগ্রেসী ভোট বাম শিবিরে যাওয়ার ইতিহাস খুব একটা ভাল নয়। বামেরা কংগ্রেসকে হাত উপুড় করে ভোট দিলেও, কংগ্রেসীরা কিন্তু সেভাবে উদারহস্ত হননি আগের ভোটগুলিতে। যদিও বিমান বসু বলেন, এবার কংগ্রেস ভোটও তাঁদের দিকে আসবে বলে তাঁরা আশাবাদী।