কলকাতা: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi By-Election) পর থেকে বাংলায় নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে জোট তত্ত্ব। এদিকে সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Elections 2023)। তার আগে বাম-কংগ্রেস জোটের (Left-Congress Alliance) তত্ত্ব নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সেই জোট-তত্ত্বের পালে হাওয়া দিয়ে আগামিকাল (১১ মে) প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের যৌথ সভা। বাম-কংগ্রেস জোট কতটা প্রভাব ফেলবে পঞ্চায়েত ভোটে? তৃণমূলের জন্য কতটা চিন্তার কারণ হতে পারে জোট? বাম-কংগ্রেস জোট শক্তিশালী হলে তৃণমূলের ভাঙন আরও বাড়বে? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা, বীরভূমে সাম্প্রতিক অতীতে শাসক দলের নীচু তলায় যে ভাঙনের চিত্র দেখা গিয়েছে, তাতে এই প্রশ্নগুলি আরও বেশি করে উঠে আসছে। আর এমন এক পরিস্থিতিতে অধীরের সঙ্গে যৌথ সভার আগে টিভি নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ মহম্মদ সেলিম। তাঁর সাফ কথা, ‘নো ভোট টু বিজেপির মধ্যেও আমরা ছিলাম না। তেমনই নো ভোট টু তৃণমূল বলেও কিছু হয় না। রাজ্যের ঐক্যকে নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের মানুষের মধ্যে একতা আনতে হবে। এ রাজ্যকে মণিপুর, অসম করা যাবে না।’ একইসঙ্গে জোটের তত্ত্ব আরও উস্কে দিয়ে সেলিম বলেন, ‘গোটা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে এবং রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হচ্ছে। সেখানেই বামফ্রন্টের সঙ্গে অন্য বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী শক্তিগুলি একসঙ্গে হচ্ছে।’
একইসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। বললেন, ‘উনি ভেবেছিলেন ড্রাইভিং সিটে যাবেন। কিন্তু সেটা পারেননি, এখন পিলিয়ন রাইডার হতে চাইছেন। আরএসএস নিজে লোক খুঁজছে। মুখ খুঁজছে। ওরা মুখ খুঁজে পাচ্ছে না। একজন মহিলা মুখ খোঁজার জন্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্য়ায়দের নিল… এখন সোনালী গুহতে এসে থেমেছে। বিজেপির অবস্থা কী, তা বোঝা যাচ্ছে?’
সেলিমের কথায়, ‘বিজেপি হল তৃণমূলের রাবিশ। তৃণমূল যখন ভাঙছে, তখন যে রাবিশ বেরোচ্ছে, সেটা নিয়ে শুভেন্দু রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। সেটা এখানে হবে না।’
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রভাব কতদূর পড়বে, তারও একটি পূর্বাভাস দিয়ে রাখলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। বললেন, ‘যখন কোনও ঝড় ওঠে, সেই ঝড়ের বিস্তৃতি কী হবে, এর এপিসেন্টার কোথায় তা বোঝা যায় না। এপিসেন্টার ভাঙড়, নাকি বীরভূম, নাকি সাগরদিঘি… ল্যান্ডফল কোথায় হবে… কোচবিহার থেকে শুরু হবে নাকি গঙ্গাসাগর থেকে শুরু হবে, সেটাও কেউ বলতে পারছে না। তার মানে একটা সত্যিকারের ঝড় উঠছে, এটা স্পষ্ট।’