কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার নির্দেশের সঙ্গে সহমত নন শুভাপ্রসন্ন। তাঁর দাবি, শিল্পের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার মতো অন্য়ায় কিছু হতে পারে না। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন শিল্পী, কোনও শিল্পকেই নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।” তাঁর কথায়, “কে কী বলেছেন, সেটা আমি বলতে পারব না। আমার যে বোধ তাতে মনে করি কোনও শিল্পকে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়, কেরালা স্টোরির মধ্যে কিছুই ব্যাপার নেই, হয়ত ধর্মান্তরিত করার ব্যাপার দেখানো আছে। এমন ধর্মান্তরণ খ্রিস্টান হিন্দুকে করে, হিন্দু খ্রিস্টানকেও করে, এইরকম অনেক ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে।”
যে ছবিটি ছাড়পত্র পেয়েছে, সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ার পর বন্ধ করা ঠিক নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই ছবি যেন দেখানো হয়। আমাদের যে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা, সেটা ঠিক ঠাক থাকবে। কারণ একসময় হুসেনের ছবিও বজরং দল পুড়িয়েছিল। তাতে আমরা ঘৃণা প্রকাশ করেছিলাম।”
রাজ্য়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য় করে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন শিল্পী। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি।”
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বাংলায় বিতর্ক তৈরি করার আগেই ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করে দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, শান্তি -সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও বিতর্কে ঝড় উঠেছে শিল্পী মহলেও।
তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেদের একাংশ এমনটা করা ঠিক হয়নি বলে সরব হয়েছেন। প্রসঙ্গত, পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেছেন, “এক-একটি রাজনৈতিক দলের এক-এক ধরনের স্ট্র্যাটেজি থাকে; নানাভাবে দলকে পরিচালনা করা হয়। এরপরই রাজের সংযোজন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকেই সব জায়গায় টার্গেট করা হয়। আমাদেরই সব জায়গায় নানা ধরনের বিষয়ে ব্যবহার করা হয়।” বিজেপি মনে করছে, সংখ্যালঘু সমাজকে খুশি করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। ‘পদ্মাবত’ সিনেমার ক্ষেত্রে তবে কেন মুখ্যমন্ত্রী বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে সওয়াল করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়করা।