Minakshi Mukherjee : আসলে কর ছাড় কারা পেয়েছেন? কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা কোথায়? বাজেট নিয়ে নির্মলাকে খোলা চিঠি মীনাক্ষীদের
Minakshi Mukherjee : “এই বাজেট আমরা মুখ বুজে মেনে নিতে পারি না। এ শুধু একবারের বাজেটই নয়, আপনাদের সরকারের নীতির প্রতিফলন। এই নীতি আমরা মানব না।” খোলা চিঠিতে তোপ মীনাক্ষীদের।
কলকাতা : “একটা কথাও বেকারদের জন্য বলা নেই। চাকরি যা ছিল, তাও প্রায় উঠিয়ে দিয়েছে। সব বিক্রি করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সেক্টরগুলো বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।” চলতি মাসের শুরুতে বাজেট (Union Budget 2023) পেশের পরই এ ভাষাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবার একই সুর শোনা গেল বামেদের মুখেও। ‘শিক্ষা আর কাজের দাবিতে এই বাজেট বিরুদ্ধাচরণ করেছে’, এই মর্মেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে (Nirmala Sitaraman) খোলা চিঠি লিখেলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। ডিওয়াইএপআইয়ের তরফে প্রকাশিত সেই চিঠি সামনে আসতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
“এই বাজেট আমরা মুখ বুজে মেনে নিতে পারি না। এ শুধু একবারের বাজেটই নয়, আপনাদের সরকারের নীতির প্রতিফলন। এই নীতি আমরা মানব না। কাজ ও শিক্ষার দাবিতে দেশের এই বাজেটের বিরুদ্ধে, যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যতের সর্বনাশ ঘটানো নীতির বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় থাকব।” এ ভাষাতেই এদিন খোলা চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলোধনা করতে দেখা গেল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-কে। প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটে বড় ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে আয়করের (Income Tax) ঊর্ধ্বসীমার উপরে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন এবার থেকে ৭ লক্ষ টাকা অবধি বার্ষিক উপার্জনের ক্ষেত্রে আয়করে ছাড় (Tax Exemption) মিলবে। আগে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা অবধি আয়ের উপরে করে ছাড় পাওয়া যেত। এবার নতুন আয়কর কাঠামোয় সেই করের ছাড়ের ক্ষেত্রের আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। যদিও এনিয়ে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে মীনাক্ষীদের।
খোলা চিঠিতে বাম যুব সংগঠনের প্রশ্ন, “আপনি দাবি করছেন আয়করে ছাড় দিয়েছেন। আসলে ছাড় কারা পেয়েছেন? যাঁরা যত ধনী তাঁরা তত ছাড় পেয়েছেন। কখন? যখন দেশের ১ শতাংশের হাতে ৪০ শতাংশ সম্পদ জমা হয়ে গিয়েছে।” এছাড়াও প্রশ্ন তোলা হয় কর্মসংস্থান থেকে রেশন, মিড ডে মিলের বরাদ্দ নিয়েও। এই চিঠিতেই লেখা হয়েছে, “দেশে বেকারত্ব সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। গ্রাম শহরে কাজের আকাল। অথচ কেন্দ্রের বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনও পরিকল্পনা নেই।” একইসঙ্গে, ‘ভারত যখন ক্ষুধা সূচকে বিশ্বে একেবারে নিচের দিকে, তখন খাদ্য ভর্তুকিতে বিপুল ছাঁটাই হল কেন? রেশনের জন্য খাদ্যশস্য সংগ্রহের বরাদ্দ ছাঁটাই করা হল কেন? কেন কমানো হল মিড ডে মিলের বরাদ্দ?’ এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে খোলা চিঠিতেই।