কলকাতা: লোকসভায় বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে জোট বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। তৈরি হয়ে গিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্য়লায়েন্স’ বা INDIA। জোটে যেমন রয়েছে তৃণমূল, রয়েছে সিপিএমও (CPIM)। মঙ্গলবার ২৬ বিরোধী দলের মেগা বৈঠক হয়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে। জোট দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে এদিনই পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে এ কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা কটাক্ষবাণ শানাতে মাঠে নেমেছে বিজেপিও। ইতিমধ্যেই INDIA নামের বিরোধিতা করে দিল্লিতে আবার অভিযোগও দায়ের হয়েছে থানায়। সুর চড়িয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও চুরি করবে কারণ সঙ্গে রয়েছে ইয়েচুরি। এদিন কার্যত ভাষাতে তোপ দেগেছেন তিনি।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একযোগে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “শুভেন্দু যখন মমতার সঙ্গে ছিল তখন মমতা সাধু ছিল? শুভেন্দু নিজে চোর ছিল না? এখন বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ আছে, সুকান্ত আছে। নজরদারি আছে। ওর তো এখন বিজেপিতে গিয়ে আফসোস হচ্ছে। ও তো তৃণমূলে থাকার সময় অনেক স্বাধীন চোর ছিল।”
এদিকে জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট তৃণমূল থাকায় এ বাংলায় অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস, বাম। বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগ লড়াইয়ের কথা শোনা যাচ্ছে বাম নেতাদের কথায়। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গলাতেও। একই কথা বলছে ফরওয়ার্ড ব্লকও। যদিও সেলিমের দাবি, ইডি-সিবিআই যে কোনও সময় ডাকতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সে কারণেই এখন বন্ধু খুঁজছেন মমতা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জোটের পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে সেলিম বলেন, “যে কোনও সময় ইডি-সিবিআই ডাকতে পারে। কোনও রক্ষাকবচ নেই। কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে পারে যে কোনও সময়। সব দুর্নীতি মামলা আরও জোরদার হাওয়ার কথা। আমরা সে জন্য চাপ দিচ্ছি। জোর লাগাচ্ছি। তাই ওনাকে এখন বন্ধু খুঁজতে হচ্ছে। কারণ উনি বন্ধুহীন। একসময় উনি বলেছিলেন দরকার হলে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বামফ্রন্টকে উৎখাত করব। কিন্তু, হাওড়া স্টেশন থেকে যখন দিল্লির জন্য ট্রেন ছাড়ে অনেকেই ওঠে। কিন্তু, সবাই ডেস্টিনেশন পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই কে কতদূর যাবে সেটা সময় বলবে।”