Buddhadeb Bhattacharya: টাটার বিদায়ে বুদ্ধর পাশে থাকেনি সিপিএম-ও! সে দিন কী বিবৃতি দিয়েছিল পলিটব্যুরো

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 08, 2024 | 2:42 PM

CPIM: পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের একাংশও বুদ্ধবাবুর দিকেই আঙুল তুলেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, ভূমিহীনদের জমি তুলে দিয়ে এক সময় মাটি শক্ত করেছিল যে সিপিএম, তারা জোর করে জমি নিচ্ছে দেখে অনেকেই তা মানতে পারেনি। মনে মনে ক্ষোভ জন্মেছিল।

Buddhadeb Bhattacharya: টাটার বিদায়ে বুদ্ধর পাশে থাকেনি সিপিএম-ও! সে দিন কী বিবৃতি দিয়েছিল পলিটব্যুরো
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও বিমান বসু।
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

কলকাতা: ২০০৬ সালে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ঘোষণা করলেন তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। সিঙ্গুরে টাটারা গাড়ি তৈরির কারখানা করবে। ১ লাখি গাড়ি তৈরি হবে সেখানে। গাড়ির নাম হবে ন্যানো। শিল্পায়নের হাত ধরে প্রচুর কর্মসংস্থানের স্বপ্নও দেখালেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু হুগলির প্রত্যন্ত গ্রাম সিঙ্গুরের মানুষ সোনার ফসল ফলিয়ে দিন চালান। কারখানা, চাকরিতে মন গলল না তাঁদের একটা বড় অংশের। এরপর প্রচুর ঝড়ঝাপ্টা সইতে হয়েছে রাজ্য সিপিএমকে। সে সময় সরকারে থেকেও তৎকালীন তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরোধিতার ঝাঁঝে চোখে ঝিলমিল লাগার অবস্থা হয়েছিল তাদের। এরপর যে জল গড়ানো শুরু হল, ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে সিপিএমের হার ও ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের পতনের মধ্যে দিয়ে তার যবনিকা পড়ল।

এই সিঙ্গুর নিয়ে কোনওদিনই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পাশে দাঁড়ায়নি সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বড় অংশ। পলিটব্যুরো সিঙ্গুর-ব্যর্থতার দায় রাজ্যের দিকেই ঠেলে দিয়েছিল। একে গোপালন ভবন বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল, সিঙ্গুরে শিল্পের সিদ্ধান্ত রাজনীতির পরিসরে কত বড় ভুল ছিল। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই পর্যালোচনায় তারা মেনে নিয়েছিল হিসাবে গোলমাল হয়েছে। আর রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা ছিল, সেই ‘ভুল’-এর আড়ালে আসলে সিঙ্গুরে বপণ হয়েছিল বাম সরকারের পতনের বীজ।

সিপিএম পলিটব্যুরোর তরফে পরে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, বাম সরকার সিঙ্গুরে টাটা কারখানার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করতে চেয়েছিল। ১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে জমি নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না। এই আইনে কৃষকদের স্বার্থ পুরোপুরি সুরক্ষিত ছিল না। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই পর্যালোচনায় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল ‘প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভুলের খেসারত গুনতে হয়েছে।’

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের একাংশও বুদ্ধবাবুর দিকেই আঙুল তুলেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, ভূমিহীনদের জমি তুলে দিয়ে এক সময় মাটি শক্ত করেছিল যে সিপিএম, তারা জোর করে জমি নিচ্ছে দেখে অনেকেই তা মানতে পারেনি। মনে মনে ক্ষোভ জন্মেছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছিল, জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি ঠিক ছিল না। তবে টাটারা চাইলে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করতে পারে, সে পথও খোলা ছিল।

সেই পথেই হাঁটে টাটা মোটরস। আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, সিঙ্গুরে কারখানা না হওয়ার কারণে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে টাটাকে। এছাড়াও ২০১৬ সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে ক্ষতিপূরণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

Next Article