কলকাতা: শাসকের নজরে এবার প্রাক্তন শাসক দল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ঘাসফুল শিবিরের তাবড়-তাবড় নেতাদের নাম জড়াতেই তেঁড়েফুঁড়ে মাঠে নেমেছে তারাও। বাম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একপ্রকার কাঁটাছেঁড়া করতে শুরু করেছে এ রাজ্যের শাসকদল (TMC)। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী-র চাকরি কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে যখন তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ঠিক তখনই সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে-বেড়াতে দেখা গেল সুজন চক্রবর্তীর সুপারিশের চাকরির চিরকুট। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী তাঁর সাংসদ প্যাডে প্রবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে চাকরির সুপারিশ করেছেন। সোমবার TV9 বাংলার প্রতিনিধির কাছে সুপারিশের বিষয়ে পরোক্ষ ভাবে স্বীকারও করেন নিলেন প্রবীণ বাম নেতা।
কী লেখা ছিল প্যাডে?
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই চিঠিতে দেখা যাচ্ছে সুজন চক্রবর্তী প্রাক্তন বাম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর হিসাব রক্ষককে সাংসদ প্যাডে লিখেছেন যে কথা অনুযায়ী পত্রবাহক কমরেড প্রবীর মণ্ডলকে পাঠালাম। তিনি প্রাকটিক্যাল টেস্টে পাশ করেছেন। করে দিতে হবে। আর এই চিঠি ঘিরেই বেধে যায় শোরগোল। যদিও এই চিঠির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে সুজন চক্রবর্তী Tv9 বাংলাকে জানান, “এতদিন প্রশ্ন উঠছিল চাকরি বিক্রি, চাকরি চুরি, টাকার খেলার। সেখান থেকে চলতে-চলতে চলে গেল সুপারিশে। এই সুপারিশ সারা দুনিয়ায়, সারা জন্মে ছিল। আর এই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা ওই ব্যক্তি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করেছেন। দেখতে ভালমন্দ বলে কেউ যেন কেটে-কুটে না দেয়। এটা তো চিরকাল বলা হয়। ভবিষ্যতেও বলা হয়েছে। আমি জানি না চাকরি চুরি থেকে চাকরি বিক্রি বলতে গিয়ে কেউ-কেউ বোকা-বোকা জায়গায় কেউ হাজির হচ্ছেন।”