কলকাতা : ফের বউবাজার এলাকায় বাড়িতে ফাটল। প্রায় সাত – আটটি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা। অভিযোগ উঠছে, মেট্রোর কাজের জেরেই বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপিতুরি লেনে। এর আগেও এই দুর্গাপিতুরি লেনে মেট্রোর কাজ চলাকালীন বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। এবার ফের সেই দুর্গা পিতুরি লেনেই বাড়িতে ফাটল। ঘটনার জেরে এলাকায় মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে এসেছেন। কিন্তু এখনও অনেকেই বাড়ির মধ্যে রয়ে গিয়েছেন। এলাকায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশকর্মীরা মাইকে করে প্রচার করছেন। যাঁরা বাড়ির ভিতরে আছেন, তাঁদের বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন। পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এলাকা খালি করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এলাকায় এসে পৌঁছেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ২০১৯ সালে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার যাতে ফের কোনও পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য তৎপর রয়েছে পুরনিগম। রাতেই অনেকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে। এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “সাড়ে চারটের সময় ফেটে টুকরো টুকরো হয়ে পড়েছে। নীচের ঘর পুরো ফেটে গিয়েছে। পাশের ১৬ নম্বর, ১৭ নম্বর বাড়িও ফেটে গিয়েছে। মেট্রো রেলকে জানানো হয়েছে। মেট্রোর কোনও ইঞ্জিনিয়ার ছিল না এখানে। প্রায় আধ ঘণ্টা পর ইঞ্জিনিয়ার এসেছে। কিন্তু এরা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না।”
এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “২৩ টি বাড়ি ধুলিস্যাৎ, প্রায় ভগ্নদশা। মেট্রোর কোনও সাইট ইঞ্জিনিয়ার নেই। মানুষ দুশ্চিন্তায় রয়েছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে।” এদিকে একের পর এক বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। সকালের দিকে যে পরিমাণ ফাটল ছিল, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়তেই সেই ফাটল আরও বাড়তে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে মেট্রোর কাজে জন্য একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। বুধবার রাতের এই ঘটনায় আবার পুরনো আতঙ্ক ফিরতে শুরু করেছে শহরে।
স্থানীয় এক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, “মেট্রো বা পুলিশ কেউই কোনও সাহায্য করে না। বাড়ি থেকে বের করতে চাইছে, কিন্তু কোনও সাহায্য করছে না। এর আগেও আমাদের বের করা হয়েছিল। আমাদের কোনও ঘর দেয়নি, ভাড়া দেয়নি… কিচ্ছু দেয়নি। মুচিপাড়া থানায় আমি বার বার গিয়েছি। কিন্তু কোনও সাহায্য করেনি। প্রশাসনও কোনও সাহায্য করেনি। পুলিশ আমাদের বার বার বলছে আমাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে, কিন্তু আমি বেরোব না। যা হওয়ার এখানেই হবে। প্রশাসন বা মেট্রো কেউই আমায় কিছু দেয়নি।”