কলকাতা : পাবজি খেলতে খেলতে পরিচয়। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়… সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়লে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উভয়ের মধ্যে। কিন্তু এখন সেই সম্পর্ক থেকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন যুবক। আর তাই ধর্ষণের অভিযোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন যুবক। যুবকের বক্তব্য, অনলাইন গেম খেলা থেকে শুরু হয় তাঁদের পরিচয়পর্ব। তারপর সেখান থেকে শারীরিক সম্পর্ক। এখন এই সম্পর্ক থেকে বেরোতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
ওড়িশার জলেশ্বরে বাসিন্দা কৃষ্ণা চৌরাসিয়া। বয়স ৩২ বছর। বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন। পাবজি খেলতে পছন্দ করেন। কাজের ফাঁকে বা অবসরে মোবাইল গেমে সময় কাটাতেন। সেই পাবজি খেলার সূত্রেই পরিচয় হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবতির। ওই যুবতিও কৃষ্ণার সঙ্গে সমবয়সি। কোভিডের কারণে লকডাউনের সময়ে বাড়িতে আসেন কৃষ্ণা। দেখা করেন ওই যুবতির সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কও হয় বলে জানা যায়। কিন্তু তখনও ওড়িশার ওই যুবক জানত না তাঁর বান্ধবী কোনও তথ্য তাঁর থেকে গোপন করছে। পরে কৃষ্ণা চৌরাসিয়া জানতে পারেন, তাঁর প্রেমিকা বিবাহিততা। তাঁর সাত বছরের একটি সন্তানও রয়েছেন।
এদিকে ঘটনাচক্রে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা ওই যুবতির স্বামীও জানতে পারেন। আর তারপর থেকেই সমস্যা আরও জটিল হয়। যুবকের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে ওই যুবকও আশঙ্কা করছেন, তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবক। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ ওই যুবকের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।