CV Ananda Bose: নিয়োগে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না, ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

সুমন মহাপাত্র | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 31, 2023 | 5:55 PM

CV Ananda Bose: এদিন বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, দুর্নীতি বন্ধের কথা। আর সে কথা বলতে গিয়ে আচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছে, "এটা বেদনাদায়ক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে।"

CV Ananda Bose: নিয়োগে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না, ফের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যপালই রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হন। এটাই দস্তুর। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে নানা সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বর্তমান আচার্যের ‘একক’ সিদ্ধান্তে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে। আচার্যর এক্তিয়ার কতটা জানতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বচ্ছতা’র সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগের লক্ষ্যে ভিনরাজ্যের বিশেষজ্ঞ আনার কথা বললেন সিভি আনন্দ বোস।

সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্রের প্রথম বৈঠক হয়। সল্টলেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে হয় এই বৈঠক। সেখানে আচার্য বোস বার্তা দেন, কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগ হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডেয়ার’ স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ হবে।

সিভি আনন্দ বোস বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ হবে। তৈরি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক-ইন্ডাস্ট্রি কমিটিও। তাঁর কথায়, সরকার, স্টেক হোল্ডাররা একসঙ্গে কাজ করবে। এদিন বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, দুর্নীতি বন্ধের কথা। আর সে কথা বলতে গিয়ে আচার্যকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এটা বেদনাদায়ক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে।”

তৃণমূল বারবারই বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আচার্যের ভূমিকায় তিতিবিরক্ত। প্রকাশ্যে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবারও তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজভবন থেকে নজিরবিহীনভাবে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে বিরোধীরাও সরকারের পাশে দাঁড়াক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তবে বিজেপি যে রাজ্যপালের পাশেই থাকবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির মুখপাত্র শমীক বলেন, “সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাই তো একটা খোলা বাজার হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মানুষের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যপাল সচেষ্ট হয়েছেন।”

Next Article