CV Ananda Bose Exclusive: শ্যামবাজার-চৌরঙ্গী-রাসবিহারীতে কী করতেন গড়গড় করে বলে গেলেন বাংলার রাজ্যপাল
CV Ananda Bose: শ্যামবাজার, চৌরঙ্গী, রাসবিহারী চত্বর বেশ ভালই চেনেন তিনি। শুধু চেনেনই না, রীতিমতো ঘুরে বেরিয়েছেন এককালে কলকাতার এই সব এলাকায়। কলকাতার রাস্তাঘাট তাঁর একেবারে অচেনা নয়।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জন্ম কেরলের কোট্টায়াম জেলায়। দক্ষিণী পরিবারে বেড়ে ওঠা। বাংলার সঙ্গে, বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে কি একেবারে অচেনা তিনি? মোটেই না। শ্যামবাজার, চৌরঙ্গী, রাসবিহারী চত্বর বেশ ভালই চেনেন তিনি। শুধু চেনেনই না, রীতিমতো ঘুরে বেরিয়েছেন এককালে কলকাতার এই সব এলাকায়। কলকাতার রাস্তাঘাট তাঁর একেবারে অচেনা নয়। টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বঙ্গ-যোগের সব কথা জানালেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বাংলার সঙ্গে সিভি আনন্দ বোসের যোগ দীর্ঘদিনের। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, কর্মজীবনের একটি লম্বা সময় এখানেই কাটিয়েছেন তিনি। ব্যাঙ্কার হিসেবে তাঁর কেরিয়ারের শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকেই। সেই সময় তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় প্রবিশনারি অফিসার। কলকাতার একাধিক শাখায় কাজ করেছেন। কখনও শ্যামবাজারে, কখনও চৌরঙ্গীতে আবার কখনও রাসবিহারী এভিনিউতে। নিজে মুখেই শোনালেন সেই সব কথা। বললেন, “বাংলা আমার কাছে একেবারেই অপরিচিত নয়।” নতুন রাজ্যপাল বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে খুব ভাল করেই পরিচিত। দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম কেন্দ্র হল এই বাংলা। এমনই মনে করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এর আগে জগদীপ ধনখড়, লা গণেশন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের আগে বাংলার সঙ্গে সেই অর্থ বিশেষ যোগ ছিল না তাঁদের। তবে নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দীর্ঘদিন এখানে কর্মসূত্রে ছিলেন। কলকাতায় পোস্টিং ছিল সেই সময়। সেই সূত্র ধরে কলকাতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় অনেক দিনের। বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যে তিনি ভীষণভাবে পরিচিত, সেই কথা নিজে মুখেই জানালেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিশেষ অসুবিধা হবে না তাঁর। এখন শহর কলকাতা, রাজভবন অপেক্ষায় রয়েছে সিভি আনন্দ বোসের কলকাতা শহরে সেকেন্ড ইনিংস শুরু করার। তবে এবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে।