কলকাতা: ১৫ জুন বিকেলে পাকিস্তানে বিপর্যয়? এমন সম্ভাবনার কথাই জানাল নয়া দিল্লি মৌসম ভবন (IMD)। শনি-সন্ধ্যার আপডেট, পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে রয়েছে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biporjoy)। তার অবস্থান মুম্বই থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে। গুজরাতের পোরবন্দর থেকে দূরত্ব ৫৬০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের করাচি থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের যা মতিগতি তাতে আগামী পাঁচ দিনে এই ৮৭০ কিলোমিটার পথ পেরিয়েই, করাচির কাছাকাছি পৌঁছবে ‘বিপর্যয়’।
গত মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। ঘণ্টায় ২১০ কিমি গতিবেগে ঝড় তুলে ‘মোখা’ আছড়ে পড়ে মায়ানমার উপকূলে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত কাজ করেন, তাদের দাবি, অন্ততপক্ষে চারশো মানুষের মৃত্যু হয়। উপকূলীয় রোহিঙ্গা শিবিরও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ বার ‘বিপর্যয়’ও চরম তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। তার প্রভাবে মাঝ সমুদ্রে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে পাকিস্তান উপকূলে পৌঁছনোর আগে, বেশ খানিকটা শক্তি হারাবে ‘বিপর্যয়’। এখনও পর্যন্ত যা সম্ভাবনা, করাচির কাছে ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।
বিপর্যয়ের সরাসরি কোনও প্রভাব এখনও দেশে পড়েনি। অবশ্য পরোক্ষ ভাবে কাঁটা ছড়িয়েছে বর্ষার পথে। বিপর্যয়ের জেরে সাত দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকেছে কেরালায়। এখনও বর্ষা পৌঁছয়নি উত্তরবঙ্গে। আরও অন্তত ৪৮ ঘণ্টা লাগবে। নিয়ম মানলে শনিবারই বর্ষা পৌঁছনোর কথা দক্ষিণবঙ্গে। কবে দক্ষিণে বর্ষা পৌঁছবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিপর্যয়ের প্রভাবে পাকিস্তান লাগোয়া গুজরাত ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি হতে পারে। মোদী-রাজ্যে ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব পড়বে কি না, সে দিকেও নজর রাখছে মৌসম ভবন।