কলকাতা: এই মুহূর্তে তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান বাংলাদেশের মংলা থেকে সরাসরি ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে। সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
মধ্যরাতের বিভীষিকার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও সাগর-সহ উপকূলবর্তী এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপট শুরু। দমদম যশোর রোডে ভেঙে পড়ে গাছ। যশোর রোড নাগেরবাজারগামী লেনে দমদম মল রোডের কাছে একটি গাছ ভেঙে বাড়ে বিপত্তি। যদিও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে তা সরিয়েও ফেলে। কলকাতা শহরে ঝোড়ো হওয়ায় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৪টি গাছ পড়েছে বলে খবর।
সাগরের কচুবেড়িয়ার পুরষোত্তমপুরে ঝড়ের দাপটে গঙ্গাসাগর কচুবেড়িয়া রোডের উপর ভেঙে পড়েছে একের পর এক বড় বড় গাছ। ব্লক প্রশাসনের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছে।
কলকাতা-সহ ৬ জেলায় আজ লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস। সঙ্গে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমেও।
সোমবার সকালেও বৃষ্টিপাত চলবে। বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে কলকাতায়। ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি। এই মুহূর্তে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েই এগোচ্ছে রেমাল। এই মুহূর্তে সমুদ্রে তার নিজস্ব গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। বাংলাদেশের মংলাতে আজ রাতে ল্যান্ডফল হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এখনও রয়েছে রেমাল। সরাসরি উত্তর অভিমুখে এসে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশের মংলা তার স্থলভাগে প্রবেশের পথ।