নয়া দিল্লি ও কলকাতা: দূরন্ত গতিতে উপকূলের দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সাগর দ্বীপ দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। ক্যানিং থেকে ১৯০ কিলোমিটার। ক্রমেই দূরত্ব কমাচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। রাতেই ল্যান্ডফল করবে বাংলাদেশের মংলার কাছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতিপ্রকৃতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে রাজধানী দিল্লিতে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়লেও, পশ্চিমবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রেমালের ঘূর্ণি ‘খেল’ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। শহর কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে এখন থেকেই গাছের ডালপালা ভেঙে রাস্তায় পড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত শহর কলকাতায় ১৪টি গাছ ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রয়োজনীয় সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর টিম। নৌসেনার তরফেও সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের উপর। পাশাপাশি পূর্ব রেলের তরফেও বি আর সিং হাসপাতালে একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্টেশন ও স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে কোথাও ঝড়-বৃষ্টির সময় কেউ আহত হলে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য এই বিশেষ বন্দোবস্ত করে রাখছে পূর্ব রেল।
উল্লেখ্য, আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যবাসীকে বার্তা দিয়েছেন, যাতে কেউ অযথা ভীত বা আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন। তবে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝড়-বৃষ্টির কারণে কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পর্যাপ্ত জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করছেন মমতা।