কলকাতা: যাদবপুরের বিদায়ী তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবার আর ভোটের টিকিট পাননি। তাঁর জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে দলের অন্য এক তারকা মুখ সায়নী ঘোষকে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? কেন টিকিট পেলেন না যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ? কেনই বা বেছে নেওয়া হল সায়নীকে? এবার যাদবপুরে ভোটের প্রচার থেকে পুরোটা খোলসা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মমতা জানান, তিনি মিমিকে ‘না’ করেননি। বরং মিমি অন্য কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াবেন কি না, সেটা জানতে চেয়েছিলেন। কারণ, তিনি এবার যাদবপুরে ‘কোমর বেঁধে ঝগড়া করার লোক’ চাইছিলেন।
রবিবার দুর্যোগের বিকেলে যাদবপুরে বারো ভূতের মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই এলাকার বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “মিমি খুব ভাল মেয়ে। খুব ভাল অভিনেত্রী। খুব ভাল অভিনয় করে। সত্যিই ও অভিনয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। দেখুন, একজনকে তাঁর পেশা থেকে তো আমি সরিয়ে আনতে পারি না। তা সত্বেও ওকে যখন যেটা বলেছি আমরা, ও করেছে। করেনি তা নয়। ও সাধ্য মতো চেষ্টা করেছে।”
এরপরই এবারের লোকসভা ভোটে যাদবপুরের দলীয় প্রার্থী হিসেবে কেন মিমির বদলে সায়নীকে বেছে নেওয়া হল, সেই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, “আমি ওঁকে (মিমিকে) ফোন করেছিলাম। বলেছিলাম, তোমাকে যদি বলি… অন্য কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াবে? আমি কিন্তু ওঁকে না করিনি। ও ভাল মেয়ে, আমি চাই ও ভাল থাকুক। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম সায়নীকে।” কেন যাদবপুরে সায়নীকেই চেয়েছিলেন মমতা, সেটাও আজ বারো ভূতের মাঠ থেকে বোঝালেন মমতা। তাঁর কথায়, “এখানে কেউ কেউ বড্ড বেড়েছে। এখানে নরম লোক দিয়ে হবে না। এখানে কোমর বেঁধে একটু ঝগড়া করার লোক দরকার। যাতে মানুষ বিচার পায়। যে জমিদারি দেখাবে, তার জমিদারি ভাঙার জন্যই সায়নীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ও স্ট্রং মেয়ে।”