কলকাতা : ফের কলেজে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হল। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এখনও স্নাতকের (UG) বহু আসন ফাঁকা রয়েছে। তাই ফের ভর্তির সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করল বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan)। ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ভর্তি (Admission) প্রক্রিয়া। গত ১ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতদিন পর ফের ভর্তি হলে সিলেবাস শেষ হবে কী করে? উঠছে সেই প্রশ্ন।
গতকাল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুসারে, কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া ফের শুরু হচ্ছে। নতুন করে অনলাইনে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শুরুর দিনক্ষণ অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি নির্দেশিকায়। উল্লেখ করা হয়েছে, স্নাতকের অনেক আসন খালি রয়েছে বলেই এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
১ অক্টোবর থেকে কলেজের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৬ নভেম্বর অবধি ভর্তি প্রক্রিয়া চললে যারা নতুন করে ভর্তি হবেন তাঁরা সিলেবাসে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন। তাই সে ক্ষেত্রে কী ভাবছে শিক্ষা দফতর, তা স্পষ্ট নয়। এর আগেও এ রাজ্যে ভর্তির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। প্রাথমিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, আবেদন করার জন্য আজ, চলি বছরের ২০ অগস্ট ছিল শেষ দিন। তবে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পরে কলেজে ভর্তির আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা পরে আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়। আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৭ অগস্ট করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই আরও অতিরিক্ত ৭ দিন সময় রাজ্যের পক্ষ থেকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্বাদশের ফলাফল রিভিউয়ের বেশ কিছু আবেদন সংসদে অনেক দিন ধরে জমা ছিল। সেই কারণেও এই বর্ধিত সময় দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
কোভিডের কারণে এবার অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে শিক্ষাবর্ষ। প্রায় তিন মাসের মতো পিছিয়েছে তা। ইউজিসির নির্দেশিকায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকেই ক্লাস শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন হোক বা অফলাইন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতেই হবে, এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। গোটা দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসির তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের গত ১৫ জুলাই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অনলাইনে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। স্নাতকে ভর্তির অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয় ২ অগস্ট থেকে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে ভর্তির জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আবেদন জমা নেওয়া হয় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : আরও বাড়ল ইঞ্জিনের সংখ্যা, হাওয়ার দাপটে জাতীয় সড়কে দ্রুত আগুন ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা