Tenure of ED and CBI Chief: ইডি-সিবিআই অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে সরব হবে তৃণমূল
ED and CBI Chief: এখন থেকে সর্বাধিক পাঁচ বছর সিবিআই ও ইডির অধিকর্তার পদে বহাল থাকতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।
কলকাতা: সিবিআই, ইডির অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র। অধিকর্তাদের কাজের মেয়াদ দু’ বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে এবার টুইটারে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন।
টুইটারে ডেরেক ও’ ব্রায়েন লেখেন, ‘নির্লজ্জ ভাবে দু’টো অর্ডিন্যান্স জারি করে ইডি ও সিবিআই ডিরেক্টরের মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হল। দু’সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ভারত যাতে নির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে না পরিণত হয়, তা নিশ্চিত করতে বিরোধীরা প্রাণপণ লড়াই করবে।’
যদিও বিজেপি সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যোগ্য আধিকারিকের কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে যদি তাঁদের পরিষেবা নেওয়া হয় তাতে তো দোষের কিছু নেই। পশ্চিমবাংলায় কী হচ্ছে? মুখ্যসচিব অবসর নেওয়ার পর তাঁকে আবারও কাজে লাগানো হচ্ছে। সমস্ত ডিপার্টমেন্টেই অবসরপ্রাপ্ত লোকেদেরই ভিড়। নতুন কর্মপদ তৈরিও হচ্ছে না, নতুন নিয়োগও হচ্ছে না। যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরাই তো এগুলো শুরু করেছেন। কেন্দ্রে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল তারাও করেছে। আমরা জানি সব জায়গায় এমনিতেই স্টাফ কম আছে। অভিজ্ঞ লোকের সংখ্যাও কম। অভিজ্ঞ লোকের সেবা যদি সরকার নেয়, এ তো ভালই।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান পদে রয়েছেন এস কে মিশ্র। ২০১৮ সালে তাঁকে ইডি অধিকর্তার পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলাও গড়িয়েছিল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল এন রাওয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, কেবল মাত্র বিরল এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
আগামী ১৭ নভেম্বর ইডি অধিকর্তা এস কে মিশ্রের বর্ধিত কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গতবছরই তাঁর দুই বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার তা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এবার ঠিক তাঁর বর্ধিত কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্স নিঃসন্দেহে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে। তার পাশাপাশি, অনেকে আবার বিষয়টিকে একেবারে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ হিসেবেও দেখছেন।
Modi-Shah care two hoots about #Parliament (session starting in two weeks) They promised India the ‘Gujarat Model’… boy, are we getting there. They give a whole new meaning to the abbreviation BS! BRAZEN SHAMELESS slaughter of democracy https://t.co/fJnOVogsgK
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) November 14, 2021
স্পষ্টতই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যাচ্ছে এস কে মিশ্রকে ইডির অধিকর্তার পদ থেকে এখনই সরাতে চাইছে না কেন্দ্র। বিশেষ করে তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের যে অভিজ্ঞতা, তার পুরোটা নিঙড়ে নিতে চাইছে ইডি। মেহুল চোক্সি, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের মতো যে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা আর্থিক তছরূপের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের দেশে ফেরানোয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইডি। একইসঙ্গে দেশেরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একাধিক ইস্যু।