কলকাতা: এবার তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চাননি। বেশ কয়েকমাস আগে থেকে সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মত বদলান। ফের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হন। আর তৃতীয়বার ঘাটাল থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। আর জয়ী হয়েই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে পদক্ষেপ করলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। বুধবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে এই নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন।
লোকসভা ভোটে ফের প্রার্থী হতে রাজি হওয়ার কারণ হিসেবে দেব জানিয়েছিলেন, অভিষেক এবং মমতা তাঁকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্যই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ করবে বলে তিনি আশ্বাস পেয়েছেন। সেজন্যই ফের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন তিনি।
দেবকে সঙ্গে নিয়ে হুগলিতে নির্বাচনী প্রচারে স্বয়ং মমতাও জানান, কেন্দ্র সাহায্য না করলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে রাজ্যই পদক্ষেপ করবে। নির্বাচনী প্রচারে দেবও বারবার ঘাটালের বন্যার প্রসঙ্গ তুলেছেন। এমনকি, তিনি বলেন, “ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে দরকারে আরও একবার জন্ম নিতে হলে নেব।”
লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিরণকে ১ লক্ষ ৮২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন দেব। ঘাটালে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন। নির্বাচনী প্রচারে দেব আরও বলেছিলেন, যত ভোট পাবেন, ঘাটালে তত গাছ লাগাবেন। নির্বাচনী প্রচারে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছেন তিনি। এবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলেন। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে বুধবার এই নিয়ে বৈঠক করবেন দেব। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পার্থর সঙ্গে দেবের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সোমবার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন পার্থ ভৌমিক। সোমবার বিধানসভায় এসে নৈহাটির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। তবে আপাতত সেচমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ বিষয়ে পার্থকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আপাতত মন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য পার্থকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুসারে কী কী করণীয়, মুখ্যমন্ত্রী তা স্থির করে দেবেন।