Calcutta High Court: ‘গ্রেফতারির সময় সুস্থ, আর চার দিন পরই শরীরে দাগ!’ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতির

Shrabanti Saha | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 12, 2024 | 4:23 PM

Calcutta High Court: গত চার জুলাই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় হাসপাতালে থাকাকালীন মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

Calcutta High Court: গ্রেফতারির সময় সুস্থ, আর চার দিন পরই শরীরে দাগ! দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতির
বিচারপতি অমৃতা সিনহা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ঢোলাহাটের ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রথমবার ময়নাতদন্তে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে, তা দেখে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। গ্রেফতার করার সময় যিনি সুস্থ ছিলেন, সেই যুবক জামিন পাওয়ার চার দিন পর মারা গেলেন কীভাবে, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। তাই শুক্রবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে ‘প্রমাণ এখনই সংগ্রহ করতে হবে, নাহলে আর ভবিষ্যতে সংগ্রহ করা যাবে না। আগামিকালই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। মৃতের বাবার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।’

গত চার জুলাই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় হাসপাতালে থাকাকালীন মৃত্যু হয় ওই যুবকের। অভিযোগ, গ্রেফতার করার পর ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ঢোলাহাট থানায় বিক্ষোভও দেখান প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে বিচারপতি উল্লেখ করেন, গ্রেফতারির চারদিন পর দেখা যায় সারা দেহে দাগ, কপালে রক্তের দাগ। রাজ্যকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘অনেক নতুন প্রশ্ন উঠে আসছে। জেলের মধ্যে মৃত্যু না হলেও সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।’ মৃতের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ রাজদীপ সরকারকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, রাজদীপ কারও নির্দেশ ছাড়া কিছু করতে পারেনা। ওসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তাঁকেও ক্লোজ করা হোক।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পরিবারের কেউ ছিল না ময়নাতদন্তের সময়। এমনকী ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন না। মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইনও মানা হয়নি। অন্তত তিনজন চিকিৎসককে থাকতে হবে। এখানে একজন চিকিৎসক ছিলেন।”

রাজ্যের দাবি, ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে। কেউ কিছু লুকচ্ছে না। মৃতের জামাইবাবু মহসিন মোল্লার সই আছে, তিনি ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন বলেও জানানো হয়েছে।

Next Article