Behala: দিনেদুপুরে ড্রয়ার থেকে উধাও ৮ লক্ষের হিরের আংটি! সিসিটিভি-তে চোখ যেতেই হতবাক বেহালার দম্পতি
Behala: সিম্মি বলছেন, কয়েকদিন আগে দুপুরে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন বাড়িতে ছিলেন না তাঁর স্বামী। বাড়িতে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের স্নান করাতে তিনি বাথরুমে ঢুকেছিলেন। ড্রায়ারে ছিল আংটি দু’টি।

ঠাকুরপুকুর: ড্রয়ারে রাখা ছিল দু-দুটো দামী হীরের আংটি। বাড়িতে ঢোকে কোনও চোর-ডাকাত। আসেনি কোনও অপরিচিত। তারপরেও উধাও। চিন্তায় ঠাকুরপুকুরের জয় কুল্লা মোল্লা রোডের ব্যবসায়ী পরিবার। খোয়া যাওয়া হিরের আংটি দু’টির বাজার মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই স্ত্রী সিম্মি ইয়াসমিনকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মুন্সি নিজামউদ্দিন। তাঁরা বলছেন, যে সময় থেকে বহুমূল্য আংটি দু’টি পাওয়া যাচ্ছে না ওই সময় শুধু বাড়িতে কাজে এসেছিল আয়া। তাঁদের সন্দেহ তীব্র হচ্ছে তাঁর দিকেই। এদিকে ঘটনার পর থেকে আর কাজেও আসছেন না বেহালার এক আয়া সেন্টারের এক আয়া।
পুরো ঘটনাই ঠাকুরপুকুর থানাকে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। সিম্মি বলছেন, কয়েকদিন আগে দুপুরে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন বাড়িতে ছিলেন না তাঁর স্বামী। বাড়িতে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের স্নান করাতে তিনি বাথরুমে ঢুকেছিলেন। ড্রায়ারে ছিল আংটি দু’টি। সেই সময় ঘরে কাজ করছিলেন বেহালার আয়া সেন্টার থেকে আসা ওই আয়া। মহিলা বাথরুমে থাকাকালীনই ওই আয়া জানান তাঁর কাজ শেষ, তিনি চলে যাচ্ছেন। সম্মতিও দেন সিম্মি ইয়াসমিন।
কিছু সময় পরে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আংটি দু’টি পড়তে যান। কিন্তু, আর ড্রয়ারে ছিল না আংটিগুলি। ভাবেন পরেরদিন আয়া এলে তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন। কিন্তু, পরের দিন থেকে আর কাজে আসেননি ওই আয়া। তাতেই বাড়ে সন্দেহ। সিসিটিভি ফুটেজ খুলে খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় তাঁদের বেডরুমে সেই কাজের মেয়েটি ছাড়া আর কেউ ঢোকেনি বা বেরোয়নিয এরপরই তাঁরা ঠাকুরপুকুর থানার দ্বারস্থ হন। যদিও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তাঁরা। তাই আগামী সোমবার তাঁরা আলিপুর কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
