কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় ৫+৩+৪ ফরম্যাটের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণিতে, অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা হবে। তারপর আবার দ্বাদশ শ্রেণিতে পরীক্ষা। অর্থাৎ, দশম শ্রেণিতে মাধ্যমিক বা সমতুল্য কোনও বোর্ড পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতিতে। তবে রাজ্য সরকার নিজের নীতিতেই অনড়। রাজ্যের শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় ৫+৩+২+২ ফরম্যাটের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দু’টি ধাপে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। দশম শ্রেণিতে মাধ্যমিক ও দ্বাদশের উচ্চমাধ্যমিক।
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এবার সেমেস্টার ব্যবস্থা নিয়ে আসার পক্ষে মত রাজ্যের। রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও তার প্রতিফলন রয়েছে। তবে সিবিএসই এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বোর্ড পরীক্ষা দু’বার দেওয়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। অর্থাৎ, দ্বাদশ শ্রেণির দু’টি সেমেস্টারের মধ্যে যেটিতে বেশি নম্বর থাকবে, সেটিকেই বোর্ড পরীক্ষার নম্বর হিসেবে ধরা হবে। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষানীতিতে কিছুটা ভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। দ্বাদশের দুটি সেমেস্টার মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ফাইনাল নম্বর দেওয়ার পক্ষে রাজ্য।
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাক প্রাথমিক স্তরে ২ বছরের কোর্সের কথা বলা হলেও, রাজ্যের শিক্ষানীতিতে প্রাক প্রাথমিকে এক বছরের কোর্সের পক্ষেই মত দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএড ডিগ্রি কোর্সের কথা বলা হয়েছে, সেটাও মানা হচ্ছে না রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। ২ বছরের বিএড কোর্সের পক্ষেই মত রাজ্যের।
তবে জাতীয় শিক্ষানীতির বেশ কিছু সুপারিশের সঙ্গে মিল রয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও। যেমন স্নাতক স্তরে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের যে সুপারিশ জাতীয় শিক্ষানীতিতে রয়েছে, সেই প্রতিফলন রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও রয়েছে। আবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের অ্যাকাডেমিক রেকর্ড রাখার পক্ষেও মত রাজ্যের। জাতীয় শিক্ষানীতির মতো অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিটের সুপারিশ মেনে নিয়েছে রাজ্য। এর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশের বেশিরভাগই মেনে নিতে হয়েছে রাজ্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।