Digha Helicopter Service Fraud: কলকাতা টু দিঘার ‘উড়ন্ত দুর্নীতি’, লালবাজারে অভিযোগ পরিবহণ দফতরের
Fraud Case in Kolkata: কয়েক বছর আগে হেলিকপ্টারে দিঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ পরিষেবা শুরু করেছিল পরিবহণ দফতর।
কলকাতা থেকে দিঘায় ‘উড়ন্ত দুর্নীতি’। টিভি নাইন বাংলাই প্রথম এই খবর তুলে ধরে। কপ্টারে উড়ানের নামে দিনেদুপুরে প্রতারণা চক্র চলছিল রমরমিয়ে। সেই খবর সামনে আসতেই এবার তৎপর পরিবহণ দফতর। লালবাজারে দায়ের হল অভিযোগ।
সূত্রের খবর, পরিবহণ দফতরের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেল মারফৎ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। যে বা যাঁরা এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে আইনানুনগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার এই প্রতারণা চক্রের কীর্তি সামনে আসার পরই পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, পরিবহণ দফতর এই ঘটনার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবে। একেবারে আইনি পথে হেঁটে এই দুর্নীতির মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশের পরই বৃহস্পতিবার পরিবহণ দফতরের তরফে ইমেল মারফৎ কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রের কাছে একটি অভিযোগ জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, কতদিন ধরে এই ব্যবসা চলছে তারও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত যেন করা হয়। সূত্রের খবর, শুধু পুলিশ কমিশনারকেই নয়, সেই অভিযোগের একটি করে কপি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের দফতরেও পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কপ্টারে কলকাতা থেকে দিঘা নিয়ে যাওয়ার নাম করে একটি ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। দিনের পর দিন ধরে চালু রয়েছে সেই ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়েই হাজার হাজার টাকা খোয়ান উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা প্রদীপ হালদার। তাঁর হাত ধরেই এই প্রচতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়।
কয়েক বছর আগে হেলিকপ্টারে দিঘা নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ পরিষেবা শুরু করেছিল পরিবহণ দফতর। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে সেই পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওয়েবসাইট ‘ড্রিম দিঘা হেলিকপ্টার’ এখনও সেই স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছে।
বন্ধুর সঙ্গে হেলিকপ্টারে দিঘা যাওয়ার জন্য ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুকিং করার চেষ্টা করেন উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বাসিন্দা প্রদীপ হালদার। ওয়েবসাইটের রাজ্য সরকারের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। তাই বিশ্বাস করেই অনলাইনে বুকিং করার চেষ্টা করেন। ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা অনলাইনে টাকা দিতে বলেন। দুই বন্ধুর যাতায়াত বাবদ ৯০০০ টাকা দেন তিনি। কিন্তু আসেনি টিকিট। পরে বলা হয়, বিমা বাবদ দিতে হবে আরও কিছু টাকা, যা ফেরৎযোগ্য। সেই হিসেবে আরও ১১০০০ টাকা দেন প্রদীপ বাবু। তবু টিকিট পাননি।
বাদুড়িয়া থানায় প্রথমে অভিযোগ জানালেও কাজ হয়নি বলেই দাবি প্রদীপ হালদারের। এরপর তিনি বসিরহাটের সাইবার সেলে যান। তাতেও সুরাহা না হওয়ায় কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখায় অভিযোগ জানান। আপাতত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: Alapan Bandyopadhyay: নিরাপত্তা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, হুমকি-চিঠির পরই পরিকল্পনা