Dilip Ghosh: ‘সংসার বড় হলে সমস্যা হয়…’, শমীকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতের আগে কেন বললেন দিলীপ?
Dilip Ghosh: এই পরিস্থিতিতে এক সময় বাংলায় বিজেপিকে এতটা পথ যিনি নিয়ে পার করিয়ে নিয়ে এলেন, সেই দিলীপ ঘোষ, যিনি আপাতত দল থেকে যেন কয়েক যোজন দূরে চলে গিয়েছেন তাঁকে কি আবার আগের মর্যাদাটা ফিরিয়ে দিতে পারবেন নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি?

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বদল হয়েছে। শমীক অনেকটা অন্য কৌশলে সংগঠন তথা দলে ঠেলা দিচ্ছেন। তার কায়দাটা চিরাচরিত রাজ্য় বিজেপির নেতাদের থেকে খানিক আলাদা। এই পরিস্থিতিতে এক সময় বাংলায় বিজেপিকে এতটা পথ যিনি নিয়ে পার করিয়ে নিয়ে এলেন, সেই দিলীপ ঘোষ, যিনি আপাতত দল থেকে যেন কয়েক যোজন দূরে চলে গিয়েছেন তাঁকে কি আবার আগের মর্যাদাটা ফিরিয়ে দিতে পারবেন নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি?
উত্তরটা সময় দেবে। কোনও উপলক্ষ্যে পৌঁছতে গেলেও একটা আলোচনা প্রয়োজন। দিলীপের সঙ্গে হয়তো সেই জায়গাটাই হারিয়ে যাচ্ছিল। তাই তো মঙ্গলবার বিকাল ৪টেয় দিলীপের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সল্টলেকের দফতরেই হতে চলেছে এই আলাপ। শমীক রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছেন এককালে RSS করা দুই বিজেপি নেতা। যার দিকে আপাতত তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শমীক বাবু রাজ্য সভাপতি পদে বসার সময়, আমি বাইরে ছিলাম। দেখা করতে পারিনি। সেই কারণেই ওনার সঙ্গে দেখা করতে আজ বিকাল কার্যালয়ে যাচ্ছি।’ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর শমীকের মুখে একটা বার্তা স্পষ্ট ছিল, তা হল আদি-নব্যকে নিয়ে চলতে হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘যখন সংগঠন তৈরি হয়নি। মানুষ জানতেন জমানত বাজেয়াপ্ত, তার সত্ত্বেও পতাকাটা ধরেছিলেন। তারা সম্মান প্রাপ্য।’ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়া দিলীপও সেই জমানার।
এদিন শমীকের আদি-নব্য মেলবন্ধন প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘বাংলার মানুষ চাইছে পরিবর্তন। তাই আদি-নব্যদের নিয়ে চলতে হবে। সংসার বড় হলে সমস্যা হয়। সেটা মাথায় রেখেই চলতে হবে। বসে সমাধান করতে হবে।’ পাশাপাশি, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে থাকার প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘বহু ২১ জুলাই গিয়েছে। যাবে। আমাদের এসব নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। যার অভ্যস্ত তারা চিন্তায় রয়েছে।’

