ছবি দেখিয়ে বোমার অর্ডার নেওয়া হত। ফোনের মাধ্যমেই চলছিল বোমা বিক্রির ব্যবসা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানে আধুনিক বোমা বিক্রি চক্রের সেই হদিশ পেয়ে হতবাক পুলিশ। কাটোয়ার মুলটি গ্রামের ওই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। আর সেই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দুয়ারে সরকার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি, এগুলো সবই আদতে তৃণমূলের নতুন নতুন প্রকল্প।
বুধবার সকালে ইকোপার্কে সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বোমার হোম ডেলিভারি হত। এতদিন দুয়ারে সরকার ছিল। এরপর দুয়ারে দুয়ারে ধর্ষণ শুরু হয়। নতুন নতুন প্রকল্প চলছে রাজ্য জুড়ে।’ তাঁর দাবি, কোথাও হোম ডেলিভারি হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বোমা, আবার কোথাও হাতবোমা পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারি হারে বোমা তৈরি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ, সেই ব্যাখ্য়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভাবুন। আপনার সঙ্গে যদি আমার ঝগড়া হয় আমি, অনলাইনে বোমা এনে আপনার বাড়িতে ছেড়ে দেব!’
দিলীপ ঘোষের দাবি, শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদীরা এ রাজ্যে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। যত অপকর্ম এখান থেকে করছে। জালনোট তৈরির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, সোনা পাচারের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রও এখন বাংলা। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তবে দিলীপের এহেন মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এ সব নাকি আদতে তৃণমূল নয়, বিজেপিরই একাংশকে বলছেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের কাছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে একটি চিঠি এসেছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই চিঠিতে নাকি তাঁকে বলা হয়েছে, যাতে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলার আগে সংযত থাকেন তিনি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই কুণাল ঘোষ দিলীপের পাশে দাঁড়িয়ে একের পর এক মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের ক্ষেত্রেও কুণালের দাবি, বিজেপিতে আছেন বলে নেহাত বিরোধিতা করছেন দিলীপ। আসলে নাকি দিলীপের বিরোধিতা সেই সব নেতাদের সঙ্গে যাঁরা দল বদলানোর পর এখন বিজেপিটা চালাচ্ছেন।