কলকাতা : সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সেই চিঠিতে দিলীপ ঘোষকে বলা হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলার সময় তাঁকে আরও সংযত হওয়ার জন্য। চিঠিতে এও বলা হয়েছিল, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় ওই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেননি দিলীপ ঘোষ। এদিকে, সামনেই আবার রাজ্য সফরে আসছেন নাড্ডা। সেই সময় কি জে পি নাড্ডার সঙ্গে এই চিঠির বিষয় নিয়ে কথা বলবেন দিলীপ বাবু? মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। তিনি কেবল বলেন, “আমি ওনার সঙ্গেই থাকব।”
সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “জে পি নাড্ডার সঙ্গে সব মিটিংয়ে থাকব। ঘরে আছে, বাইরেও আছে। আমাদের মন্ত্রী এসেছেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি মিটিংয়ে যাওয়ার কথা আছে।” সিকিম সফর শেষে মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাগডোগরা থেকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছনোর দাড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জে পি নাড্ডার সফরের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, “আমি তো ছিলাম না। আমি সিকিমে ছিলাম। এখানকার পার্টির যে সিস্টেম আছে, সেভাবে কার্যকর্তারা লেগে আছেন। অনেক ব্যস্ত কার্যক্রম রয়েছে ওঁনার। এবার যেমন সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে, তেমন সংগঠনের বাইরেও বিশেষ কিছু কর্মসূচি আছে।”
এর পাশাপাশি ভবানীপুরে জোড়া খুন প্রসঙ্গেও রাজ্যের শাসক শিবিরকে তীব্র আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এই রকমের হত্যা, মৃত্যু… যেখানে সেখানে মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে। কোন ওয়ারিশ নেই। ডায়মন্ড হারবারের একজন এসআই-এর হত্যা করা হল। সেই নিয়ে আমি পোস্ট করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। বিরোধীদের মারা হচ্ছিল। বিরোধীদের মেরে জিতে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছে। এখন পুলিশ প্রশাসন, সাধারণ মানুষ কেউ সুরক্ষিত নয়। পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।”
খোঁচা দিতে ছাড়েননি উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়েও। বক্রোক্তির সুরে বলেন, “ওখানকার লোকের সঙ্গে কথাই বলেন না। ওখানকার লোকের সমস্যা শোনেনও না। সমস্যার কথা শোনা উচিত। আস্তে আস্তে সমস্যা বাড়ছে। যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী, তারা আরও সুযোগ পাচ্ছে। কারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে।”