Dilip Ghosh: ‘দেবকে কোণঠাসা করেছে তৃণমূল’, নন্দনে ‘প্রজাপতি’র ঠাঁই না হওয়ায় বিস্ফোরক দিলীপ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 26, 2022 | 12:21 PM

Dilip Ghosh: তিনি বলেন, " দেবকে তৃণমূল ব্যবহার করেছে। একসময় সিনেমা রিলিজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জোর করে টিকিট দিয়ে ওকে সাংসদ করেছে।"

Dilip Ghosh: দেবকে কোণঠাসা করেছে তৃণমূল, নন্দনে প্রজাপতির ঠাঁই না হওয়ায় বিস্ফোরক দিলীপ
দিলীপ ঘোষ ও দেব (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: ‘প্রজাপতি’র বসতে পারেনি নন্দনে। কেন? তার কারণ বিশ্লেষণে বাংলায় এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” এতো সুন্দর হল (নন্দন) সেখানে শো দেওয়া হল না। তাদেরই সাংসদ সেখানে অন্যতম তারকা। সেটাই তো। মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বলে, তাকেও কোনঠাসা করার চেষ্টা।” দেবে-র সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়েও বিস্ফোরণ অভিযোগ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ” দেবকে তৃণমূল ব্যবহার করেছে। একসময় সিনেমা রিলিজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জোর করে টিকিট দিয়ে ওকে সাংসদ করেছে।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রথম পরিচয়, তিনি একজন অভিনেতা-সাংসদ। তাঁর নতুন ছবি প্রজাপতি-র মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, যাঁর কিনা আরও একটা পরিচয় তিনি বর্তমানে বিজেপি নেতা। একুশের নির্বাচনের ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূল ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে গিয়েছিলেন মিঠুন। রাজনৈতিক সমীকরণটা বদলেছে সেখানেই। আর তার প্রভাব পড়েছে শিল্পেও। এবারের নন্দনে দেবে-র সিনেমা দেখানো হচ্ছে না। তাতে যে মন খারাপ দেবের, তা তিনি টুইটেই প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ উঠছে, মিঠুন অভিনীত দেবের সিনেমা নন্দনে না দেখানোর পিছনে শাসকদলের রাজনৈতিক অভিসন্ধীই কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেন বাবার সম্পত্তি। পার্টির সম্পত্তি। মিসইউজ চলছে। যাদের নামে লোক হলে আসে, তাঁদের দূরে রাখার চেষ্টা চলছে। রাজ্যের সুপার স্টার মিঠুন চক্রবর্তী। বহুদিন পর একটা বাংলা ছবি করলেন। লোকে মুখিয়ে আছে। বয়কটের হুমকি। দেবকে তৃণমূল ব্যবহার করেছে। একসময় সিনেমা রিলিজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জোর করে টিকিট দিয়ে ওকে সাংসদ করেছে। এদের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না। এরা রাজনীতি ছাড়া আর কিচ্ছু বোঝে না।” বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।

Next Article