কলকাতা: নির্বাচনের সময়েও দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) মতো বহু ভুয়ো অফিসার নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে ভোট প্রভাবিত করেছেন। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বুধবার ইকো পার্কে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, “স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে সত্যিকারের উপকার কতটা হবে জানি না। দেবাঞ্জন কাণ্ড থেকে দৃষ্টি সরাতেই এই চমক। সিবিআই তদন্ত ছাড়া দেবাঞ্জন কাণ্ডের সত্যি সামনে আসবে না। এই সরকারের তদন্তে কারোর ভরসা নেই।”
এরপরই তিনি নির্বাচন প্রসঙ্গ উত্থাপিত করেন। তাঁর বক্তব্য, “নির্বাচনের সময় ভুয়ো গাড়ি, বাতি ব্যবহার করে ভোট প্রভাবিত করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের মত আরও অনেকেই তাতে যুক্ত ছিলেন। সঠিক তদন্ত না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।” উল্লেখ্য, দেবাঞ্জন কাণ্ডে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে আরও এক ভুয়ো কর্তার। ভিজিল্যান্স কর্তার পরিচয় দিয়ে শহরে জালিয়াতির জাল বিছিয়েছিলেন তিনি। দেবাঞ্জনের পর্দা ফাঁসের পরই এবার পুলিশের জালে তিনিও।
এদিকে, দেবাঞ্জন কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একশো বা দুশো নয়, কোভিশিল্ডের এক হাজার জাল লেবেল প্রিন্ট করেছিলেন দেবাঞ্জন। কসবায় তাঁর অফিসেই এই লেবেল প্রিন্ট করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।
আরও বেশ কিছু জাল লেবেল প্রিন্ট করার জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করে রাখা হয়েছিল তাঁর অফিসের কম্পিউটারে। এই লেবেল প্রিন্ট করার জন্য অফিসে ছিল কালার প্রিন্টারও। বাইরে থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল প্রিন্ট করলে ধরা পড়ার ভয়ে অফিসেই কালার প্রিন্টার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন। তাঁর অফিস থেকে বেশ কিছু কোভিশিল্ডের লেবেলও মিলেছে।
আরও পড়ুন: নারদ মামলা: গৃহীত হল মুখ্যমন্ত্রী-আইনমন্ত্রীর হলফনামা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে মমতাকেও
তাঁর অফিসের কম্পিউটার থেকে কোভিশিল্ডের এই জাল লেভেলের গ্রাফিক্স পাওয়ার পরে তাঁকে জেরা করা হয়। এই লেভেল তিনি কোথা থেকে প্রিন্ট করান, কেনই বা আরও লেবেল তৈরি করে রাখা হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।