কলকাতা: “ওঁরা চিরদিন দেশদ্রোহী।”বিএসএফ নিয়ে অপর্ণা সেনের মন্তব্যের জবাব দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শুক্রবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেশের পক্ষ যা কিছ, ওঁনারা তার বিরোধিতা করেন। এখন দেশের মন বদলেছে। ওঁনারা তা বুঝতে পারছেন না।”
চলতি সপ্তাহেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অপর্ণা সেন বলেন, “এত ক্ষমতাতেও হচ্ছে না। আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটা মিলিটারাইজেশন হচ্ছে। এই যে বিএসএফরা, তারা কি যথেষ্ট নয়। কী ভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করছে ঠিকই, তবে অপর্ণা সেন সেদিন দাবি করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও একটু ভাবনাচিন্তা করুক সরকার। তাঁরা যাঁকে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে উদ্যোগী হোক রাজ্য।
গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের ‘সন্ত্রাসজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্নদের একটি পুরনো ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান না, তাঁরা বুদ্ধিজীবী নন, সন্ত্রাসজীবী। যাঁরা সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন সেই বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আপনারা আঙুল তুলছেন? করোনা থেকে আমফান, কোথায় ছিলেন আপনারা? আপনাদের জন্য বাংলার মানুষ লজ্জিত।’ এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও নিশানা ছিল এই বিদ্বজ্জনেরা।
অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। বাংলার মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের হাতেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।” এরপরই শুভেন্দুর তোপ, “উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী। এরা কাল এসে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাক।”
বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। তখন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকব’ গানটি নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।”
আরও পড়ুন: ‘প্রার্থীই তো দিতে পারেনি তৃণমূল, কার হয়ে প্রচার করবেন?’ বাবুলের ত্রিপুরা সফরকে খোঁচা দিলীপের
কলকাতা: “ওঁরা চিরদিন দেশদ্রোহী।”বিএসএফ নিয়ে অপর্ণা সেনের মন্তব্যের জবাব দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শুক্রবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেশের পক্ষ যা কিছ, ওঁনারা তার বিরোধিতা করেন। এখন দেশের মন বদলেছে। ওঁনারা তা বুঝতে পারছেন না।”
চলতি সপ্তাহেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অপর্ণা সেন বলেন, “এত ক্ষমতাতেও হচ্ছে না। আরও বাড়ানো হচ্ছে। একটা মিলিটারাইজেশন হচ্ছে। এই যে বিএসএফরা, তারা কি যথেষ্ট নয়। কী ভাবে ছিটমহলের মানুষের উপর অত্যাচার হয়। ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়। মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করছে ঠিকই, তবে অপর্ণা সেন সেদিন দাবি করেন, সীমান্তে বাস করা মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও একটু ভাবনাচিন্তা করুক সরকার। তাঁরা যাঁকে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে উদ্যোগী হোক রাজ্য।
গত মঙ্গলবার টুইটারে বুদ্ধিজীবীদের ‘সন্ত্রাসজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্নদের একটি পুরনো ছবি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ান না, তাঁরা বুদ্ধিজীবী নন, সন্ত্রাসজীবী। যাঁরা সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন সেই বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে আপনারা আঙুল তুলছেন? করোনা থেকে আমফান, কোথায় ছিলেন আপনারা? আপনাদের জন্য বাংলার মানুষ লজ্জিত।’ এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও নিশানা ছিল এই বিদ্বজ্জনেরা।
অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কারও দোষ থাকতে পারে। তাই বলে বিএসএফকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। বাংলার মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। ক্ষমতা রয়েছে পুলিশের হাতেই। যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নানা আক্রমণ হচ্ছিল তখন অপর্ণা সেন কোথায় ছিলেন।” এরপরই শুভেন্দুর তোপ, “উনি নিশ্চয়ই পে রোলে আছেন, ভাতাজীবী। এরা কাল এসে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে যাক।”
বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। তখন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকব’ গানটি নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।”
আরও পড়ুন: ‘প্রার্থীই তো দিতে পারেনি তৃণমূল, কার হয়ে প্রচার করবেন?’ বাবুলের ত্রিপুরা সফরকে খোঁচা দিলীপের