কলকাতা: ২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরভোট। পুরভোটের আগে তাতছে টিলার রাজ্য। বিপ্লবগড়ে তার আগেই ঘুরে এসেছেন বাবু সুপ্রিয়। আজ, শনিবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। আর তাঁর এই সফরকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “ভালো একটা সুযোগ হয়েছে ঘোরাঘুরি করার। এখানে খুব প্রেসারে থাকেন। সারা বছর জল জমে থাকে সেই নিয়ে টেনশন, তারপর এই যে এত স্ক্যাম হচ্ছে চাকরি দেওয়া নিয়ে রোজ আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় । ক’দিন একটু রিল্যাক্স থাকবেন ত্রিপুরায়।” ফিরহাদ হাকিমকে একবার গোয়া ঘুরে আসারও পরামর্শ দেন তিনি।
দিলীপের কথায়, “একটু গোয়াও ঘুরে আসুন। ওখানকার লোক ভালো স্বাগত করছেন। সুন্দর পরিবেশ ওখানে। এখানকার মত মারকাট হিংসা নেই।” হেয়ালির ছলেই ফিরহাদকে বলেন, “নিশ্চিন্তে থাকুন, বললে হোটেল ও বুক করে দেওয়া যাবে।”
২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরভোট। একাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যত জিতে গিয়েছে শাসকদল বিজেপি। বহু জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে ত্রিপুরা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল। ২৫শে নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা ও ৬ টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট হবে। তার আগে বাংলার ৯জন তৃণমূল নেতাকে পাঠানো হয়েছে ত্রিপুরায়।
গত কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতৃত্ব রয়েছেন। সুস্মিতা দেব টানা পড়ে রয়েছেন সেখানে। পাশাপাশি এ রাজ্য থেকে গিয়েছেন জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা। রয়েছেন বিধায়করাও। যেহেতু ত্রিপুরায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বার বার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে, সে কারণে এদিন ত্রিপুরায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছে তাঁরা।
তাঁদের মূলত দু’টি দাবি। প্রথমটি হল, ভিভিপ্যাট এবং সিসিটিভিতে যথাযথ ভাবে নজরদারি চালাতে হবে। না হলে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সন্ত্রাস বা কারচুপির অভিযোগ বেশি করে উঠবে। একই সঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, যে ভাবে লাগাতার সন্ত্রাস চলছে ত্রিপুরায়, তাদের প্রার্থী-কর্মিসমর্থকদের উপর হামলা হচ্ছে তা রুখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। ত্রিপুরায় বিরোধী যে সমস্ত প্রার্থীরা রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতেও এদিন সরব হয় তৃণমূল।
এদিনের অবস্থানে শামিল হন বাবুল সুপ্রিয়ও। বাবুলের বক্তব্য, “এখানে যে ভাবে গুন্ডামি হচ্ছে, সিসিটিভি না রাখা, ভিভিপ্যাট না রাখা। এগুলো ভোট বিধির উপেক্ষা ছাড়া কিছুই নয়। এগুলো চলতে পারে না। বাইক নিয়ে গুন্ডারা ছেলেদের ভয় দেখাচ্ছে, প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ আর সরকারের মধ্যে যে সমীকরণ এটা খুব খারাপ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।”
বৃহস্পতিবার রাতেও প্রচারে বেরিয়ে হামলার মুখে পড়েন রাজ্যের প্রথম সারির তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়ে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগের নিশানায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অশান্তির ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
আরও পড়ুন: তিন তলার জানলা দিয়ে গলগল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া, সল্টলেকে আগুন গ্রাস করতে শুরু করেছে গোটা বাড়িকে