কলকাতা: ‘বামেরা বিরোধিতাটা ভাল করতে পারে’, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবারের বামেদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বামেরা চিরদিন বিরোধিতা ভালো করতে পারে। আন্দোলন করতে পারে, সরকার চালাতে পারে না। উন্নয়ন করতে পারে না। তাই লোকে বিসর্জন দিয়েছে।” তাঁর সংযোজন, ” তারা আন্দোলন করবে সেটা দেখে বাংলার মানুষের ধারণা হয়ে গিয়েছে, ওটাই ওদের ভালো কাজ। সেই জন্য পশ্চিমবাংলার মানুষ এই কাজের বিরোধিতা করছেন। সমস্ত দল করছে। যে ধরনের অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের অধিকারকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে, সবাই তার বিরোধিতা করছে।”
প্রসঙ্গত, শুরুটা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরেই। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছিলেন। তারপর সেই রাতের ঘটনা। মধ্যরাতে অতর্কিতে পুলিশি অভিযানে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীদের আমরণ অনশন মঞ্চ। টেনে হিঁচড়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের তরফে পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বর্বরতার অভিযোগ তোলা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ময়দানে নামে বামেরাও।
শুক্রবার বেলা গড়ানোর পর থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হতে থাকে করুণাময়ী, সিটি সেন্টার চত্বর, ও শিয়ালদহ চত্বর। এসএফআই-ডিওয়াইএফআই কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদেরও। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। সিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানে জমায়েতের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায়, তাঁকেও টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে, রীতিমতো রাস্তায় শুয়ে পড়েন তিনি। বামেদের আন্দোলনে আরও একবার তপ্ত হয় করুণাময়ী চত্বর। এই আন্দোলন প্রসঙ্গেই বিজেপির দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘বামেরা ভাল বিরোধিতা করতে পারেন…’