কলকাতা: টেটের (TET Exam) মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ২০১৪ সালের আন্দোলনরত টেট প্রার্থীরা নিজেদের বঞ্চিতই মনে করছেন। টিভি-৯ বাংলার (TV- Bangla) স্টুডিয়োতে এসে কার্যত কাঁদতে কাঁদতে ফের সরকার তথা পর্ষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তাঁরা। এদিকে প্রাথমিকে নিয়োগের ঘোষণা আগেই করে দিয়েছিল পর্ষদ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে শূন্যপদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ২১ অক্টোবর শুক্রবার থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেল ৪ টে থেকে আবেদনের জন্য অনলাইন পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫।
২০১৪ বা ২০১৭-তে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং যাঁরা প্রশিক্ষিত তাঁরা প্রত্যেকেই এই শূন্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। চাকরির দাবিতে সল্টলেকে অনশন শুরু করেছিল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুলিশ মাত্র ২০ মিনিটের ‘অপারেশনে’ ভেঙে দেয় ৮৪ ঘণ্টার অনশন মঞ্চ। এদিন ফের শূন্যপদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী সীমা নাগের দাবি, “আমরা বঞ্চিত। আমাদের যে ১৬ হাজার ৫০০-র নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা পুরোটা হয়নি। আরটি-র মাধ্যমে জানা গিয়েছে ৩ হাজার ৯০০-র মতো আসন রয়েছে। সেই সিটটা কিন্তু মহামান্য আদালত আমাদের জন্য বরাদ্দ করেছিল। সেই প্রসেসটা শেষ না করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আবার একটা নতুন প্রসেস শুরু করে দিয়েছেন।”
আর এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, “পর্যাপ্ত চাকরিপ্রার্থী না থাকলেই তবে পরের প্রসেস চালু হয় আগের ফাঁকা কথাকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু, আগের ফাঁকা পদের জন্য প্রার্থী থাকলেও তা পূরণ না করে কী করে নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল?” সীমা নাগের প্রশ্ন, “৮ বছর হয়ে গেল কোনও নিয়োগ নেই। আমাদের তো সময় চলে গেল। বয়স বেড়ে গেল। এই ৮ বছরে কী শূন্যপদ বাড়েনি? সেই একই রয়েছে?”