Dilip Ghosh On Netai Issue: ‘আমাদের তো শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতেও আদালতে যেতে হয়’, নেতাই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ
Dilip Ghosh On Netai Issue: "প্রশাসন পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। এটা দুঃখের। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের অন্য জায়গায় শহিদ বেদী বানাতে হয়েছে ।"
কলকাতা: “শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতেও আমাদের আদালতে যেতে হয়।” নেতাইয়ে শহিদ স্মরণে উপস্থিত থাকার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে টেনে সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রশাসন পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। এটা দুঃখের। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের অন্য জায়গায় শহিদ বেদী বানাতে হয়েছে ।এই ভাবে শ্রদ্ধা তো কলকাতা থেকে বা অন্য জায়গা থেকেও করা যায়।”
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বর্তমানের করোনা আবহে বিধি মেনে সেখানে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। রাজ্য যাতে তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে, সেই কথাও বলেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর নেতাই যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই মাসের এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থাকছেই। তার সঙ্গে রাজ্যের তরফেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেছিলেন, শুভেন্দুর নেতাইয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এমনকি এর আগের হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেয় সরকার। ৭ জানুয়ারির আগে, তাঁর যাওয়ার বিষয়ে আগাম জানানোর কথাও বলা হয়েছিল আদালতের তরফে। নেতাই যাওয়া নিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না শুভেন্দুকে। কিন্তু তারপরও দেখা যায় বিপর্যয়।
নেতাইয়ে যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের বক্তব্য ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে কনভয় ছিল তা পুলিশ গন্তব্যস্থলে যেতে দেবে না। একা যদি শুভেন্দু যান তবেই তিনি অনুমতি পাবেন। এদিকে, একা বিরোধী দলনেতা ঘটনাস্থলে যেতে চাননি। তিনি তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে নিয়েই নেতাইয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তার ফলে পুলিশ যেতে দেয়নি বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা যায়।
সব বাধা পেরিয়ে নেতাইয়ে যান শুভেন্দু। লালগড় ঢোকার মুখে ঝিটকার জঙ্গল থেকে ফিরে এসে ভিমপুরে অস্থায়ী শহিদ বেদী তৈরি করে শহিদদের উদ্দেশে স্মৃতি তর্পন করেন তিনি। মাল্যদানও করেন। এছাড়া নেতাইয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে তিনি সিধু-কানুর উদ্দেশেও শ্রদ্ধা জানান।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিকে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলে থাকাকালীন সেই রুটিনে বদল হয়নি বিজেপিতে গিয়েও।