কলকাতা: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ‘বেসুরো’ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। ১৬ জানুয়ারি তাঁরা যে কী ‘জানাবেন’, তা নিয়ে জল্পনায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একের পর এক দলীয় নেতা যখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছে, তখন উল্টোদিক থেকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে জর্জরিত করছে বিজেপি। বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের ফ্যানস ক্লাবের বৃহস্পতিবারের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, দলটা কোনওদিনই এক সুরে বাধা ছিল না। ও দলে কোন সমন্বয়ই নেই। একইসঙ্গে শতাব্দীকে বিজেপিতে স্বাগতও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। তবে শতাব্দীকে নিয়ে মুখ খুলেছেন সৌগত রায়ও। তাঁর প্রতিক্রিয়া, দল বিষয়টি দেখছে।
আরও পড়ুন: ক্রমশ নামছে পারদ, আরও কিছু দিন লেপ-তোশকের আদর পাবে আমবাঙালি
শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শতাব্দী-প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই দলটিকে সমন্বয়ের অভাব। এদের এক সুর কোনওদিনই ছিল না। লাঠি এবং পুলিসের ভয়ে সবাই এক জায়গায় ছিল। একটু ঢিলে হয়েছে তাই সবাই আলাদা হতে আরম্ভ করেছে। সবাইকেই স্বাগত।”
গত ১১ জানুয়ারি হাওড়ার ডোমজুড়ের সাংসদ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অগ্রণী মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। শনিবার ১৬ জানুয়ারি আমি ফেসবুক লাইভে আসছি।” গত কয়েকদিনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজীবের না থাকা, বারবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা যখন তুঙ্গে তখনই আবার শতাব্দী রায়ের ভক্তদের একটি ফেসবুক পেজ থেকে শোনা গেল নয়া ‘বেসুর’।
পোস্টে লেখা ‘এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না।…২০০৯ সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিই আগামী ১৬ জানুয়ারি শনিবার দুপুর দু’টোয় জানাব।’ শতাব্দী রায় প্রসঙ্গে দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “পোস্টটা দেখেছি। ও পুরনো এমপি। দল কথা বলবে। দলই দেখছে বিষয়টা।”