কলকাতা: চাকরির দাবিতে ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন ওরা। দীর্ঘদিন বসে রয়েছেন আন্দোলনে। তবে মিলছে না হকের চাকরি। বুধবারও আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এ দিন তাঁদের সঙ্গে ধর্না মঞ্চে দেখা করতে গেলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এ দিন দিলীপ বলেন, ‘ওনাদের সঙ্গে সময় কাটানোর দরকার ছিল। তবে তা করা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আজ আমি তাদের মিষ্টিমুখ করাতে এসেছি। এবং বস্ত্র বিতরণ করতে এসেছি।’ এরপর রাজ্যকে তোপ দেগে বিজেপি নেতা বলেন, ‘এনসিসি-র জন্য ফান্ড নেই। তাই তাদের কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না। ডিএ দিতে পারছে না। এত টাকা যাচ্ছে কোথায়? এটাই আমাদের প্রশ্ন। কেন্দ্র থেকে হাজার-হাজার, কোটি-কোটি টাকা আসছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকার তাতে চলছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কেন চলছে না?টাকার অভাব কেন হচ্ছে?’
এ দিকে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভাতৃদ্বিতীয়া। সেই উপলক্ষ্যে এ দিন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নামঞ্চেই ভাই-ফোঁটার আয়োজন করেন। চলে মিষ্টি বিতরণও। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন বিজেপি এই নেতা। পুজোর সময় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বাড়িতে থাকার পরামর্শও দেন তিনি। বলেন, ‘তারা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের ১০০ ভাগ অধিকার আছে আন্দোলন করার সেই দাবি মেটানো সরকারের দায়িত্ব। আমার বক্তব্য হচ্ছে পুজো এসে গেছে আন্দোলন চলতে থাকবে। বাংলায় সারা বছর আন্দোলন হয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলন করছে। পুজোর কটা দিন বাড়িতে গিয়ে পুজোতে সময় দিন। কারণ আমরা জানি যে রাজত্বে বাস করছি সেখানে অধিকার ন্যায় পাওয়াটা মুশকিল। পরে আবার জোরদার আন্দোলন হবে।’
এরপর পুজো কেটেছে। করুণাময়ীর সামনে গোটা রাজ্যবাসী দেখেছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের উপর হঠাৎই পুলিশের অভিযান। সেই সকল ঘটনার পর আজ সশরীরে টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত থাকেন দিলীপ। বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থী বস্ত্র ও কিছু খাবার তুলে দেন বিজেপি নেতা।