AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh On Viral Audio Clip: ‘ওদের নেতাদেরই গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে এত হইচই কেন?’ তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপ

Dilip Ghosh on Viral Audio Clip: দিলীপবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদেরই হাতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা গেছে। আর এখানে একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হই চই হচ্ছে।

Dilip Ghosh On Viral Audio Clip: 'ওদের নেতাদেরই গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে এত হইচই কেন?' তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপ
বিধানসভায় উঠল 'টাকা নিয়ে টিকিট' ইস্যু
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2021 | 1:13 PM
Share

কলকাতা: টাকার বিনিময়ে পুরভোটের টিকিট পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দলে যাঁকে দায়িত্ব্ দিয়েছে, তিনিই যা বলার বলবেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদেরই হাতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা গেছে। আর এখানে একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হই চই হচ্ছে।

বুধবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষকে ‘টাকা নিয়ে টিকিট’ ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে কত হাজার হাজার মানুষ বিজেপিতে এসেছিলেন। কেউ আছেন। কেউ চলে গেছেন। আর তৃণমূল নেতাদের হাতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর এখানে একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হই চই হচ্ছে। আগে যাচাই হোক।”

মঙ্গলবার ‘টাকা নিয়ে টিকিট’- এবার এই ইস্যু ওঠে বিধানসভায়। সম্প্রতি বিজেপির কলকাতার এক নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণ কলকাতার এক যুব বিজেপি নেতা পুরসভা নির্বাচনে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আরেক টিকিট প্রত্যাশিত বিজেপি নেতার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। মোবাইলে কথোপকথনের সেই অডিয়ো ক্লিপ আসে TV9 বাংলার হাতে। সেই খবর প্রথম সম্প্রচারিত করে TV9 বাংলা। রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলে দেয় এই অডিয়ো ক্লিপ। এই গোটা বিষয়টি মঙ্গলবার উঠে আসে রাজ্য বিধানসভাতেও। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় স্পিকারের সামনে গোটা বিষয়টি তুলে ধরেন। এই ঘটনার সঠিক তদন্তের পক্ষে বিধানসভায় সওয়াল করেন তাপস চট্টোপাধ্যায়।

পুরনির্বাচনের প্রাক্কালে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি যুবনেতার চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। সেই কলরেকর্ডে শোনা যাচ্ছে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে। এক পক্ষ টিকিট প্রার্থী। অন্যজন বিজেপির যুবনেতা প্রীতম সরকার বলে অভিযোগ। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদারের জ্ঞাতসারে এই কথোপকথন হয়েছে। অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে বিজেপি। TV 9 বাংলায় এই খবর লাগাতার সম্প্রচারিত হয়।

বিতর্কিত অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর দাবি, “পুরো ঘটনাটাই ভুয়ো। একটা চক্রান্ত করে তৈরি করা। বিজেপির এতটাও খারাপ দিন আসেনি যে বিজেপিকে ১ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি করতে হবে। তারপর প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সংযোগ নেই। পুরোটাই ভ্রান্ত। তৈরি করা।”

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন স্বার্থে লোকে এসব করে থাকে। এর কোনও প্রমাণ লাগে না।”


ঠিক কী শোনা গিয়েছে অডিয়ো ক্লিপে? ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির
কথোপকথন। অভিযোগ, ওই দুই কণ্ঠস্বরের একটি বিজেপি যুব নেতা প্রীতম সরকারের। অভিযোগ, বিজেপি যুব নেতা বলে দাবি করা ওই কণ্ঠস্বরে শোনা যাচ্ছে, একজন টিকিট প্রার্থীকে বলা হচ্ছে, “প্রতি ক্যান্ডিটেড ১ লাখ টাকা করে অন্তত দাও”, আরও বলা হচ্ছে, “একদম হবে। এবং সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে জেতানোর যতরকম চেষ্টা, সব করা হবে।” পাশাপাশি, টিকিট প্রার্থীর প্রশ্নের উত্তর দিতেও শোনা গিয়েছে। তবে ওই টিকিট প্রার্থী কে তা জানা যায়নি। অডিয়োটির সত্যতা যদিও যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদারের জ্ঞাতসারে এই কথোপকথন হয়েছে। এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপটি নিয়ে সরাসরি লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন খোদ দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি শঙ্কর শিকদার। লালবাজার সাইবার সেল ও বিজেপি সূত্রে খবর, স্নেহাশীস দত্ত নামে জনৈক এক ব্যক্তির নামেই লিখিত এফআইআর দায়ের করেছেন শঙ্কর। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছেন, স্নেহাশীস বেহালার বাসিন্দা। অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় , বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে এবং তাঁর নামে নানা মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন স্নেহাশীস। শুধু তাই নয়, স্নেহাশীস নামের ওই ব্যক্তি বিশেষভাবে শঙ্করবাবুর ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তাই, স্নেহাশীসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি।

আরও পড়ুন: কাঁকুরগাছির অভিজিত্‍ ‘খুনে’ এবার মামলা হতে পারে পুলিশ কর্তা ও বিধায়কের নামে