Dilip Ghosh: ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পিকনিক দিলীপের, বিজেপিতে কি ফের চড়ুইভাতি রাজনীতি?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 28, 2022 | 8:34 PM

Dilip Ghosh: চড়ুইভাতির মেনুতেও ছিল এলাহি আয়োজন। খাঁটি বাঙালি মেনু। ভাত, ডাল, তোপসে মাছ ভাজা, চিংড়ির মালাইকারি, কাতলা মাছের কালিয়া, কাঁকড়া, দই ও মিষ্টি।

Dilip Ghosh: ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পিকনিক দিলীপের, বিজেপিতে কি ফের চড়ুইভাতি রাজনীতি?
মাছ ধরতে ব্যস্ত দিলীপ ঘোষ

Follow Us

কলকাতা: বঙ্গ বিজেপিতে (Bengal BJP) চড়ুইভাতি রাজনীতি নিয়ে গত শীতের মরশুমে জোর চর্চা হয়েছিল। একের পর এক পিকনিক হয়েছে। কখনও নহাটায়, কখনও গোবরডাঙায়, তো আবার কখনও ঠাকুরনগরে। সেই নিয়ে তৃণমূলের খোঁচাও হজম করতে হয়েছিল বঙ্গ বিজেপিকে। সেই সময় অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা ছিল। দলের রাজ্য ও জেলা কমিটিতে মতুয়াদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তবে এখন সেই সমস্যা কাটিয়ে অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে বিজেপি। আবার একটি শীতের মরশুম। আবার একটি পিকনিক। নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে সোমবার নীরবে শীতের চড়ুইভাতি করলেন দিলীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বারুইপুরে দিলীপ ঘোষের এক পরিচিতের বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল এই পিকনিকের। দিলীপ ঘোষের সময়ের রাজ্যের নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই পিকনিকে। সূত্রের খবর, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন ঘোষ সহ যুবক ও মহিলা মোর্চার সেই সময়কার নেতারা উপস্থিত ছিলেন বারুইপুরের পিকনিকে। চড়ুইভাতির মেনুতেও ছিল এলাহি আয়োজন। খাঁটি বাঙালি মেনু। ভাত, ডাল, তোপসে মাছ ভাজা, চিংড়ির মালাইকারি, কাতলা মাছের কালিয়া, কাঁকড়া, দই ও মিষ্টি।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চব্বিশের লোকসভার মহারণের আগে সংগঠনের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ বিজেপির জন্য। তার আগে যখন দলের সবাইকে একযোগে কাজ করার বার্তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তখন হঠাৎ ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বকে নিয়ে এই পিকনিক ঘিরে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, দলের অন্দরেও অনেকে বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না।

বিশেষ করে এর আগে বাংলায় বিজেপির চড়ুইভাতি রাজনীতি নিয়ে যেভাবে তৃণমূল শিবিরের খোঁচা হজম করতে হয়েছে, এবারও যদি তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা পঞ্চায়েতের আগে আখেরে পদ্মশিবিরকেই ব্যাকফুটে ঠেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

Next Article